ছোটবেলার থেকে আমার প্রাগে যাওয়ার শখ। লন্ডন মিউনিখ বার্লিন নিউ ইয়র্ক সিডনি আমাকে টানে না। আমি যেতে চাই প্যারিস, ভিয়েনা, প্রাগ, বুদাপেস্ট, যে শহর ঝকঝকে মসৃণ নয়, কিন্তু প্রতিটা পাথরে একটা করে গল্প আছে। ইউরোপে আসার পরেই, আমার কাজ হলো, কিভাবে কত বেশি জায়গায় ঘোরা যায়। আমার বন্ধুভাগ্য সুপ্রসন্ন, ব্রাজিলের এক ছেলের সাত্থে বন্ধুত্ব হয়ে গেলো, যে আমার মতই কাধে একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে বের হয়ে যায়, একটা পাউরুটি নিয়ে
সারাদিন ধরে ঝমঝম বৃষ্টি। সকালবেলা আটটা নয়টার সময়ও ঘর অন্ধকার, মনে হয় ভোর ছয়টা বাজে বুঝি। দশটার ক্লাস ধরতে দশটা ছাব্বিশে কলাভবন গেটে পৌঁছে ক্লাসে যাবার বদলে গেটের সিঁড়িতেই বসে যাই, মামা এসে লেবু চা দিয়ে যায় ঐতে চুমুক দেই বসে বসে। তারপর মুজিব হলে গিয়ে ঘুমন্ত বন্ধুকে চাঁটি মেরে ঘুম থেকে উঠিয়ে ডিম-বন দিয়ে দুপুর বারোটায় নাস্তা সেরে আরেক বন্ধুর বাসা মালিবাগ চলে গিয়েছিলাম। এখন সন্ধ্যা ছয়টা, রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সামনে উত্তরাগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। বৃষ্টি কমে এসেছে, তবে আবার হুড়মুড় করে নামবে যেকোন সময়। পাশেই বুটবাদামওলা গভীর মনোযোগের সাথে ভাজা বাদাম থেকে বালু আলাদা করছে। কাছে টং দোকানে ক্যাসেট প্লেয়ারে বেজে চলেছে, হাতে রানে কানে। আঙ্গুলের চিপায় চাপায় ঘাও। আমাদের এই বিচ্ছু মলম, আপনারা ব্যবহার করেন। এর একটা বড় গুণ কি জানেন?