সবচেয়ে অসত্য ভাবনা কী?
‘অবশেষে জানিলাম- মানুষ একা।”
কেন অসত্য?
কারণ, প্রত্যেকটি মানুষ বহু মানুষের হাতে তৈরি।
বহু মানুষের সাথে যুক্ত।
সে একলা একা হতেই পারে না।
বহু যুগের বহু কোটি মানুষের দেহ মন মিলিয়ে মানুষের সত্তা।
সেই বৃহৎ সত্তার সঙ্গে সম্পর্ক
একজন ব্যক্তি মানুষ যতটুকু দেখতে পারে
সে ততটুকু যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে।
সেই সত্তাকে নাম দেয়া যেতে পারে
মহামানুষ।
এই বৃহৎ সত্তার মধ্যে
রঙীন খেলনাগুলো যখন তোমার জন্য নিয়ে আসি খোকা
তখন বুঝতে পারি; চারদিকে কেন এত রঙের খেলা
ঐ মেঘে, ঐ জলে। আর কেনই বা ফুলেরা এত রঙে রঙ করা
বুঝি খোকা, রঙীন খেলনাগুলো যখন তোমার হাতে তুলে দেই।
যখন তুমি নাচবে বলে গান গেয়ে উঠি
তখন আমি সত্যি জেনে যাই; কেন গাছের পাতায় সুর ওঠে, আর কেনই বা
সমুদ্রের ঢেউগুলো একসাথে কল্লোল করে ওঠে পৃথিবী শুনবে বলে
বুঝতে পারি আমি, যখন গান গেয়ে উঠি তুমি নাচবে বলে।
‘যারে আমি চাই তারে আমি দিই ধরা
সে আমার না হইতে আমি তাহার হই
পেয়েছি বলে মিছে অভিমান করা
অন্যরে বাঁধিতে গিয়া বন্ধন মোর।’
বাসনা বুঝি এমনই। যা আমার নয়, অথচ আমার বলে ভাবি।
বাসনা আর লোভ কি একই?
একই না হলেও ওরা জোড়া। জমজ। হাত ধরে হাঁটে। কান টানলে যেমন মাথা আসে, বাসনা জন্মালেই লোভ জেগে ওঠে।
স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে রবীন্দ্রনাথ ১৯১২ সালে শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে অবস্থান করেছিলেন দীর্ঘ সময়ের জন্য। কষ্টকর চিন্তাসাধ্য লেখালেখির উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি তখন নিজের কিছু কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। মূলত ১০টি ভিন্ন ভিন্ন কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতাগুলো নেওয়া হলেও এর অর্ধেকই ছিল গীতাঞ্জলির।
• ১৮৮৯ থেকে ১৯০১ পর্যন্ত বারো বছর পূর্ববঙ্গের শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে জমিদারীর কাজে থাকাকালীন সময়ে "আমার সোনার বাংলা" কবিতাটি লিখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
• ১৯০৫ সালের সঞ্জীবনী পত্রিকায় ও বঙ্গদর্শন পত্রিকায় গানটি প্রকাশিত হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমেরিকা গেলেন। প্রথম। ১৯১২ সালে। লন্ডনে উইলিয়াম রোদেনস্টেইনের হাতে ইংরেজি গীতাঞ্জলির পাণ্ডুলিপি রেখে আমেরিকার দিকে পা বাড়িয়েছিলেন। পা ফেলার আগে লন্ডনে তার অল্পবিস্তর আলোকসঞ্চারী খ্যাতি অর্জন হয়েছিলো। তিনি সেখানে থাকতে থাকতেই তো ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিলো গীতাঞ্জলির ইন্ডিয়া সোসাইটি সংস্করণ প্রকাশের ব্যবস্থা। তা বেরুনোর আগেই পৌঁছে গেলেন আমেরিকায়। নভেম্...
প্রকাণ্ড চর- ধূ ধূ করছে- কোথাও শেষ দেখা যায় না-...। হঠাৎ পশ্চিমে মুখ ফেরাবামাত্র দেখা যায় স্রোতোহীন ছোটো নদীর কোল, ও পারে উঁচু পাড়, গাছপালা, কুটির, সন্ধ্যাসূর্যালোকে আশ্চর্য স্বপ্নের মতো।
================================
বাঙালি যা চিরকাল দেখে এসেছে তাই দিয়ে শুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বইখানি! রবীন্দ্রনাথ তখন বন্দোরা সমুদ্রের তীরে : “ভারি বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত বৃষ্টি হচ্ছে...