সম্প্রতি মাছরাঙা টিভি চ্যানেলে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে লবিং করার জন্য ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান মারফত বিএনপি একটি মার্কিন লবিং প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেবার তথ্য ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া এই তথ্যে দেখা যায় বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ট্রাইবুনাল, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তিসহ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক প্রভাবিত করতে একটি চুক্তি মার্কিন লবিং প্রতিষ্ঠান Akin Gump Stra
একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে সরকার অথবা সরকারী দলের কিছু করার নেই। কখনো ছিলও না। বাংলাদেশের আইন-আদালতের উপর সরকারের কোন প্রভাব নেই। কেবল সরকার বলে নয়, এই রায়ে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল অথবা সংগঠনের কারোরই কোন প্রভাব নেই। সুতরাং আমরা যারা বিচারের রায়ে খুশি নই, তারা যেন মনে রাখি, সরকার এই বিচারের রায় বদলাতে পারে না। তারা এই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের তাদের সদিচ্ছা দেখিয়েছে মাত্র। কিন্তু বিচারের রায় কী হবে, কে অপরাধী অথবা কে অপরাধী নয় সেই বিষয়ে সরকার (অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী) কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র স্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের।
[justify]একটু ইতিহাস জেনে নেই
শুরু করি আর্মেনিয়ার গণহত্যার ইতিহাস দিয়ে। আর্মেনিয়ার গণহত্যা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন আর তার ঠিক তার পরপর তৎকালীন 'অটোম্যান এম্পায়ার'দের ঘটানো একটি সুপরিকল্পিত গণহত্যা। নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে এই গণহত্যার সাথে চলে ধর্ষণ। এই গণহত্যার কারণে মৃতের সংখ্যা ধরা হয় এক থেকে দেড় মিলিয়নের মধ্যে।
আইসিএসএফ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ঘিরে অপপ্রচারের মাত্রা এই সময়ে অনেক বেশি বেড়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারবিরোধীরা মরিয়া হয়ে ন্যায়-অন্যায় সকল পথে বিচার বানচালের জন্য চেষ্টা করছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের অপপ্রচারে ভুলে অনেক সাধারণ মানুষও বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেকের মাঝেই নতুন করে অনেক প্রশ্ন-কৌতূহল তৈরি হচ্ছে। আইসিএসএফ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ঘিরে সাম্প্রতিক তৈরি হওয়া এমন সব প্রশ্নের জবাব দেয়া হচ্ছে এই ব্লগে। এখানে আপনার কৌতূহলের জবাব না থাকলে মন্তব্য অংশে তা জানাতে পারেন। মন্তব্যে পাঠকের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব মূল লেখায় যুক্ত করে দেয়া হবে।
গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর ২০১২) লণ্ডনের দ্য ইকোনমিস্টের সাংবাদিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম'কে ফোন করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। সাংবাদিকের ভাষ্যে, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপে আলোচনার রেকর্ড তা(দে)র কাছে রয়েছে এবং তারা সেটি প্রকাশ করতে চায়। ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছে চুরি করা কোন তথ্য যেন প্রকাশ করা না হয়, সেটি বিচারকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। একই সঙ্গে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ এবং বিচারকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার জন্য কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেই মর্মে ইকোনমিস্ট'কে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন আদালত। ইকোনমিস্টকে নিয়ে এই ঘটনার মাঝেই আমার দেশ পত্রিকা ড. জিয়াউদ্দিন এবং বিচারপতি হকের কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেছে। আমার দেশের হ্যাকিং এ অংশগ্রহন খুব অবাক করা কিছু নয়। যে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার জন্য নিয়মিত মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে, রাজনৈতিক-কূটনৈতিক নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই বিচার কার্যে বাধা দিতে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা না করা হলেই সেটা আশ্চর্যজনক হত।