নতুন টুইটার শিখেছি। বেশ ইন্টারেস্টিং জিনিস, জামাতির পেছন দিয়ে বংশদন্ড প্রবেশের জন্য উত্তম হাতিয়ার। ভেবে দেখলাম জামাতির গুষ্টি বাঁশেরকেল্লা গড়বে তাতে আশ্চর্যের কিছু নাই, যে হারে লোকে এগুলিরে বাঁশ দেয় দুইচারটা কেল্লা বানানো তেমন কঠিন নয়।
আমার জন্মের বছর দশেক আগে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের মানুষ আমার মত ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে মোটাদাগে দুই ভাগে ভাগ হয়েছিল। একভাগ ঠিক করেছিল আমার জন্ম হবে আল্লার পছন্দের দেশ পাকিস্তানে, আমি আমার মায়ের ভাষা বাংলা বাদ দিয়ে কথা বলব খাঁটি মুসলমানি ভাষা উর্দুতে, স্কুলের মাঠে দাঁড়িয়ে টুপি পরে গাইব পাক সার জমিন সাদ বাদ। আমি মিশব শুধু মুসলমান বন্ধুদের সাথে, হিন্দুরা তাদের জন্মভূমিতে জিজিয়া কর দিয়ে মসলমান শাসকের দয়ায় থাকবে কিম্বা হিন্দুস্তান চলে যাবে।
এই দলের লোকগুলি জামাতি। তারা আমাকে পাকিস্তান উপহার দেবার জন্য নামাজ পড়ে বেরুত আর্মি ক্যাম্প কমান্ডারের জন্য মেয়ে খুঁজতে। তারা গ্রামের হিন্দুবাড়িতে আগুন দিয়ে আল্লার পথের গাজী ঘোষণা দিত নিজেদের। পাকিস্তান আর্মির প্রত্যক্ষ মদদে তৈরি হওয়া আল বদর বাহিনীর তরুণেরা খুঁজে খুঁজে বের করেছিল দেশের সূর্য সন্তানদের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পাড়ায় আমি বিশ বছর পরে থাকব সেই পাড়ায় তারা ঢুকিয়েছিল তাদের গোপন মাইক্রোবাস। তাদের মুখ ছিল কালো কাপড়ে ঢাকা।