আপনি যদি ভাবেন, এই দাবী আদায়ের জন্য এভাবে ১৪ দিন রাজপথ আকড়ে না পড়ে থাকার দরকার ছিল না, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন । জামাত শীবিরের রক্তচক্ষু, বহির্বিশ্বের চাপ এবং রাজনৈতিক ফায়দা লাভের অভিসন্ধিতে ভেস্তে যেত আমাদের এই প্রানের দাবী । এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ, জাতি, রাজনৈতিক দল, সারা বিশ্বকে জোর গলায় জানিয়ে দেয়ার দরকার ছিল এটা সমগ্র জাতির দাবী এবং এই ব্যাপারে কোন আপোষ আমরা মেনে নেব না। আইন পদ্ধতিতেই আমরা এই নরপশুদের ফাসি চাই এবং দিব। ধৈর্যহারা হয়ে অযৌক্তিক ভাবে "দ্রুত ফাসি চাই, এক্ষনি ফাসি চাই " বললে আমাদের নায্য দাবীও সবার কাছে মনে হবে বেআইনী, ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের আইন ব্যবস্থার সুনাম এবং সর্বোপরি আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে বলেই, উত্তাল শাহবাগের দোড়গোড়ায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল থেকেও গোলাম আজমের গায়ে একটা ফুলও ( পড়ুন জুতা ) কেউ মারে না। আইনী প্রক্রিয়াতেই আমরা এই ঘাতক দালালদের বিচার করে ঝামা ঘষে দিব ডেভিড বার্গম্যানের মত সুযোগ সন্ধানীদের মুখে যারা " মব জাস্টিস " বলে উড়িয়ে দিতে চায় জনতার এই দাবীকে । তাই বলে কি রাজপথ ছেড়ে দিব ? কখনোই না। প্রশ্নই আসে না। আবার আসুন পেছনে ফিরে তাকাই । ৫২ তে ভাষা, ৭১ এ স্বাধীনতা , ৯০ এ গনতন্ত্র কিছুই কি এত দ্রুত পেয়েছি ? খুব কি সুখকর ছিল সেই দিন গুলো। ? তাহলে এত অল্পতেই কেন আমাদের এই হতাশা ? এত অল্পতেই কেন আমরা ক্লান্ত ?? আরো যে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। বিজয় আসবেই ।
আসুন, শাহবাগ আন্দোলনে নিজেদের দেখা হৃদয়স্পর্শী ঘটনা আর ছবিগুলো জড়ো করি এখানে। বিশ্ব দেখুক আরেক মুক্তিযুদ্ধ।
"ধুরো হালার, আগেই বলছিলাম এইসব করে কোনো লাভ হবেনা, কাজের সময় দেখবা একটারেও পাওয়া যাবেনা, এখন বুঝো!!"
২০০০ সালের গ্রীষ্ম, ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, দুপুর ১২ টা। প্রবল ঝমঝম বৃষ্টিতে, আমরা আশ্রয় নিয়েছি পাশের মেডিক্যাল গেটের যাত্রী ছাউনিতে। আকাশ কালো আর মেঘে ঢাকা, আমাদের ৪/৫ জনের মুখও আকাশের মতই। আমরা এসেছি আমরণ অনশনে বসতে।
শকুনগুলো নখর বসায় যখন আমার কৃষ্টিতে
রাষ্ট্র্র তখন গভীর ঘুমে নাক ডেকে ঝুম বৃষ্টিতে
কেউ থেমে যায় মাঝ পথে
ভীষণ বোকা কয়টি ছেলে দাঁড়ায় গিয়ে রাজপথে !
-ছড়াকা...
"সে'সব সাহসী মানুষগুলোকে, যারা সুদিনের স্বপ্ন দেখে..স্বপ্ন দেখায়"
নিপীড়নের বিরুদ্ধে আর
সত্য-ন্যায়ের দাবীতে
আন্দোলনের দীপ্ত মশাল
জ্বলছে এখন জাবি-তে ।
...
ওদিকে আরেক ইতিহাস তৈরি হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কয়েকশ ছেলেমেয়ে সারারাত রেজিস্টার ভবন ঘেরাও করে বসে ছিল। তাদের ঘিরে ছিল ছাত্রদলের গুন্ডার...
শিরোনামটা সব পত্রিকায় একই রকম। গামেন্টস শ্রমিকরা মীরপুর এলাকায় কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেছে। দু'দিনের প্রতিবাদের পর মালিক, শ্রমিক আর সরকার পক্ষ একটা মীমাংসায় পৌঁছেছে। আজ তেভাগা আন্দোলন দিবস। ঐতিহাসিক ...