এক
মুন্সি সাব মিলিটারি আইছে। মনে অয় ওগো বড় সাব। কাজের ছেলে দেলু এসে ফিসফিস করে হোসেন মুন্সিকে খবরটা দিলো।
মুন্সির মেজাজটা খিচড়ে গেলো ফিসফিস করে কথা বলতে শুনে। ধমকে বললেন, “হারামির বাচ্চার মুখ দিয়া যেন কতা বেরুইতাছে না। মিলিটারি আয়ে নাই যেন ভূত আইছে”।
দেলু চুপ করে দাঁড়িয়েছিলো। তিনি আবার হুঙ্কার দিলেন, “দারাই আসছ কে? জলদি গিয়া বসার ঘরের দরজাটা খোল হারামজাদা। তাড়াতাড়ি যা”।
জহিরুল ইসলাম নাদিম
আমার দেশের মতো এমন
দেশ কি কোথাও আছে?
এই আমাদের হাজারো ঋণ
রয়েছে যার কাছে।
মা যেভাবে বুকে ধরে
আদর করে সোহাগ করে
দেশও আমায় তেমনি করে
করে আদর যতন-
দেশ আমাদের মা-ই তো এক
দেশতো মায়ের মতন!
সুখের দিনে দুখের দিনে
আপন কে পর যাই যে চিনে
ভুল বুঝে কেউ এড়িয়ে গেলেও
দেশ তো থাকে কাছে-
আমার দেশের মতো এমন
দেশ কি কোখাও আছে?
তার ফুলেরা গন্ধ দিয়ে
গান শুনিয়ে পাথি
বুকের ভেতর যে সুখ ...
শেষমেষ যেতেই হলো দেশে । আজ যাব কাল যাব করে কখনযে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে টের পাইনি । কারন যে কিছু নেই তা নয় : মনেহয় প্রতিষ্ঠা, পেশা মাথার ভেতরে খুব ভাল করে জেকে বসেছিল, তাই সময়ের চলে যাওটা ঠাহর করতে পারিনি । যাইহোক অনেক সময়, অর্থ ব্যায় করে অবশেষে দেশে যাওয়া হলো, কমকরে একটা মাস সেখানে কাটানো গেল, এটা অনেক পাওয়া- কোনকিছু দিয়ে তাকে পরিমাপ করা যবেনা । যথাসময়ে কানডায় ও ফিরে আসলাম সপরিবারে । ...
দেশের দৈনিক আছে যত কেন হয়না সব বন্ধ
সারাপৃষ্ঠা জুড়ে ব্যথা কান্না ময়লা আর দুর্গন্ধ
পড়তে পড়তে বেদনায় ভারাক্রান্ত হই
এ শরীর পঙ্গু হয়ে যাক আমি অন্ধ কেন নই
সব কিছু দেখে যাই সব কিছু শোনে এই কান
হাত পা নিশপিশ করে মুখে ওঠে খিস্তির তুফান
আমি কেন দেখতে পাই সবকিছু কেন শুনি
গুনীজন মার খান রাস্তায় ললিপপ চুষে খান উনি
ক্যামেরা ধরলেই কথার তুবড়ি ছোটে জনতার সম্মুখে
সকলে দখেতে পাই - মাছি ভন ভন ...
আজকাল কেউ দাওয়াত দিলে যেতে চাইনা। যে সুধীসমাবেশ ঘটে সেখানে অবধারিত ভাবে দেশের কথা আলোচিত হয়, তর্ক বিতর্কের সুচনা হয়, লোভ সামলাতে না পেরে পার্টিসিপেট করি এবং পরে মন খারাপ হয়। পাছে ঝগড়াবাজ হিসেবে খ্যাতি হয় এবং হোস্টের ব্লাকলিস্টে অর্ন্তভুক্ত হই এই ভয়ে গিন্নী যাবার আগে শাসিয়ে নেয় – চুপ করে থাকবা, কোন বিপ্লবের দরকার নাই।
চুপ করেই থাকি। কেউ আমাকে দায়িত্ব দেয়নি দেশকে ডিফেন্ড করবার...
ষাটের কাছাকাছি বয়স ভদ্রলোকের। বাড়ি লাহোরে। ১৯৭১-এর সবকিছুই অত্যন্ত ভাল করে তার মনে আছে। যদিও পঞ্চাশের দশকের শেষ থেকেই তিনি এদেশে, পাকিস্তান-বাঙ্গালদেশ আর ভারতের খবর বেশ ভাল ভাবেই রাখেন।
কথা প্রসঙ্গে গত পরশুদিন হটাত আমকে জিজ্ঞ্যেস করলেন, এটা কি সত্যি যে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডের (বিডিআর) পেছনে না-কি ইসলামি জঙ্গিবাদিদের হাত রয়েছে?
আমি বললাম, সে রকমই শুনছি।
ভদ্রল...
(পূর্ব প্রকাশের পর)
দেশ বাঁচাতে এবং মানুষের দিন বদলাতে এবারের নির্বাচনে প্রার্থীরা একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে ভালো লোকের সংখ্যা খুবই কম। দুদলের প্রার্থীদের ভেতর কমবেশি সবার নামেই দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব ছাপিয়ে সামনে চলে এসছে প্রার্থীদের ৭১ এ মুক্তযুদ্ধকালীন সময়ের ভূমিকা।
নানা ধরণের প্রচার প্রচারণা এবং জনমত সত্ত্বেও এ...
(পূর্ব প্রকাশের পর)
এই লেখার প্রথম খণ্ডের পর অনেকেই আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে জানতে চেয়েছেন আমি চারদলীয় জোটের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে এ ধরণের পোস্ট দিয়েছি কিনা? আমি তাদের কথায় অবাক হয়েছি। এই লোকগুলো খুনী, নরপিশাচ- একথা প্রমানিত সত্য। এদের মতো খুনিকে জেনেশুনে সমর্থন দেয়াটা অবশ্যই যে কারো বিবেকে বাধবে। অথচ এদেরকেই দেশের আইনপ্রণেতা হবার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে !! এ ধরণের ঘটনা মনে হয়...
কদিন থেকেই লিখবো বলে ভাবছিলাম। লেখার বিষয় ছিলো লাথি। বিষয়টি নিয়ে ভাবতে ভাবতেই আরেকটি নতুন বিষয় চলে এলো মুক্তি। মুক্তিযোদ্ধার পিঠে স্বাধীনতা বিরোধীদের লাথি আর এককালের কুখ্যাত রাজাকার নিজামীর ত্বরিৎ মুক্তি নিয়ে সচলায়তনে যখ...