পাকিস্তান কেন সমর্থন করেন? পিছলা টাইপ মানুষ জবাব দেয়, ভাই, ভাল খেলে তাই করি। একটা দল ভাল খেললে সমর্থন দিলেও কি দোষ হয়ে যায় নাকি? ও আচ্ছা, তাহলে আপনি খেলার সাথে রাজনীতি বা ধর্ম মেশাচ্ছেন না? এক্কেবারেই না! কক্ষণো না! খেলা তো খেলাই, ওটাকে অন্য কিছু দিয়ে বিচার করবেন না।
আগের পর্বে শুধু কেনিয়ার সাথে বাংলাদেশের দুঃখজনক পারফর্মেন্স বর্ণনা করেই ক্ষান্ত দিয়েছিলাম। আজ বাকি দলগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাজে পারফর্মেন্সের উদাহরণ দিতে যাচ্ছি।
জিম্বাবুয়েঃ
এক যুগের বেশি হয়ে গেছে বাংলাদেশ টেস্ট খেলা শুরু করেছে। তারও অনেক আগে থেকে খেলে ওয়ানডে। কিন্তু বহু জ্ঞানীগুণীজন এবং পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ এখনো মনে করেন বাংলাদেশের উপযুক্ত খেলার ময়দান হলো আই সি সি সহযোগী সদস্যদের সাথে, একদিনের ক্রিকেটও নয়। আর এটাকে সঠিক প্রমাণ করতেই বাংলাদেশও যেন উঠেপড়ে লেগেছে, সেই শুরু থেকেই। হতাশাজনক ও জঘন্য পারফর্মেন্স প্রদর্শন শুধু আফগানিস্তান নয়, বরং সব সহযোগী সদস্য ও সমমানের দলের
গল্পটা যদিও বেশ পুরানো তবুও না বলে আসলে থাকা যাচ্ছে না। সেদিন ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বোধহয় নতুন এক মাত্রা যোগ হল। যার পর থেকে ক্রিকেট খেলায় জেতা যেন আমরা ভুলেই গিয়েছি। শুধু জেতা কেন আমরা বোধহয় খেলাও ভুলে গিয়েছি। গল্পটা না হয় একটু আগে থেকেই শুরু করা যাক। বেলা তখন বারোটা বেজে তেতাল্লিশ মিনিট। আমি টেলিভিশনের সামনে বসে চিন্তা করছি খেলাটা মাঠে গিয়ে দেখলে কেমন হয়। আগের রাতে আকাশের অবিরাম কান্নায় খেলার মাঠ প্রায় জলে থৈ থৈ করছে। দেড়টার দিকে মাঠ পরিদর্শন শেষে জানা যাবে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ওয়ান ডে ম্যাচ সিরিজের প্রথম খেলা ঠিক ক’টায় শুরু হবে। মনে হল খেলা শুরু হতে যখন দেরীই হচ্ছে তাহলে মাঠে যাওয়ার একটা চেষ্টা দেয়া যেতে পারে। মাকে ডেকে বললাম,“চল খেলা দেখতে যাব।”
মা জবাব দিলেন, “ টিকিট?”
“মাঠে গেলেই আশা করি পাওয়া যাবে।”
কে বলেছে খেলাধুলায় আমরা র'ব পিছে?
জানো না কি হারা ছাড়া জিততে চাওয়া মিছে!
"হারতে হারতেই জিততে হবে" - সত্য চিরন্তন।
তবু কেন হারলে তুমি খারাপ করো মন?
যতই আমরা হই না কেন খেলায় পরাজিত,
হয়ো নাকো তবু তুমি একটুকুও ভীত।
সত্য কথা, ন্যায্য কথা, সবাই জেনে নাও -
বাংলাদেশকে হারতে দেখে লজ্জা কেন পাও?
১।
অনেক দিন আগে এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আর ক্রিকেট মূল নিয়ন্ত্রক হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ারা। তাদের মর্জিমাফিক তুমুল জনপ্রিয় আর অর্থের অবারিত এই দুই সাম্রাজ্যের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত হয়।
আশির দশকের একসময় দক্ষিন আফ্রিকার ব্লুমফনটেন শহরের সবচেয়ে নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রে কলেজের এক অলরাউন্ড ছাত্র ছিল একাধারে রাগবি আর ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক। ক্লাসের হেড প্রিফেক্টও ছিল সে। স্কুলের হেডমাষ্টার যোহান ভলসটেড ছেলেটিকে নিয়ে অনেক আশাবাদী। ওলন্দাজ বংশোদ্ভূত অতিশয় ধার্মিক এই অবস্থাপন্ন পরিবারের বড় ছেলেটিও গ্রে স্কুলের উপরের ক্লাসের মেধাবী ছাত্র। স্কুলের ক্রিকেট টিমের অনেক জয়ে এই দুই সহোদরের ব্যাটিং নৈপুণ্য অবদান রেখেছে। টিম ক্যাপ্টেন ছোট ভাইটি একদিন হেডমাস্টারকে বলে বসল যদি একদিন সে ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে খেলার সুযোগ পায় তবে স্যারকে সে প্লেনের টিকিট পাঠাবে। তখনও দক্ষিন আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ এক দেশ। কথা সেই বালকটি রেখেছিল। ১৯৯৪ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত দক্ষিন আফ্রিকা আর ইংল্যান্ডের সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ সহ বিমানের টিকিট পৌঁছে যায় গ্রে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঠিকানায়। প্রেরকের নাম হান্সি ক্রনিয়ে, মিডল অর্ডারের উদীয়মান প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান।
অ্যাশ (আশরাফুল) এর ভক্ত আমি সেই ছোট বেলা থেকে। ইন্ডিয়ান এজ লেভেলের ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে এসেছিল কোনো একটা সিরিজ খেলতে, আমার ঠিক মনে নেই। এতদিন আগের কথা আর ছিলামও যথেষ্ট ছোট। অ্যাশ এর বয়স তখন ১৪ কি ১৫ বছর। ওই সিরিজেই প্রথম অ্যাশ এর ব্যাটিং দেখা। যতদুর মনে পরে ৭৪ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেই যে চোখে লেগে গেল তার অসাধারণ ব্যাটিং তা একেবারে চোখ দিয়ে ঢুকে মনে গিয়ে যায়গা করে নিল!
যেই দেশে প্রাণহানি ঘটে রোজ বোমাতে
প্রশাসন নিজে থাকে নিয়মিত কোমাতে
বোমা ফাটে মসজিদে, বাসে, সেনা সদরে
জঙ্গী হামলা হয় রাষ্ট্রীয় কদরে
যেই দেশ ভুল করে, ক্ষমা নিয়ে ভাবে না
সেই দেশে আমাদের দল যাবে? যাবে না!
কথা যদি সত্যিই দিয়ে থাকে লোটাসে
সেটা হলো তার দায়, বুঝে নিক ওটা সে
সেই দায় কেন নেবে মুশফিক, রিয়াদে?
১.
ছুটির দিনে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠে দু'টি খবর চোখে পড়লো।
বিডিনিউজের প্রথম খবরটিতে দেখলাম, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে। ২৯ এপ্রিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে একটি একদিনের ক্রিকেট ম্যাচ এবং ৩০ এপ্রিল একটি টিটোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে পিসিবি ও বিসিবি। বিসিবির সভাপতি মুস্তফা কামাল বলেছে,