ক্লাসে ফার্স্ট হয়েও কখনো ফার্স্ট হবার মর্যাদা উপভোগ করতে পারিনি, নতুন বছরের শুরুতে নতুন ক্লাসের রোলকলে নিজের নাম শুনার জন্য ক্লাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। বাবার সরকারী চাকুরীর সুবাদে বাংলাদেশের অনেক জায়গাতে থাকা হয়েছে, বছর বছর স্কুলও পাল্টে যেতো। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি, উত্তরবঙ্গের কোন এক জেলায় থাকি। প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে যেতাম, স্কুলের পাঠ শেষে ছয় বা আট ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ খেলে বাসায় ফির
একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে সরকার অথবা সরকারী দলের কিছু করার নেই। কখনো ছিলও না। বাংলাদেশের আইন-আদালতের উপর সরকারের কোন প্রভাব নেই। কেবল সরকার বলে নয়, এই রায়ে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল অথবা সংগঠনের কারোরই কোন প্রভাব নেই। সুতরাং আমরা যারা বিচারের রায়ে খুশি নই, তারা যেন মনে রাখি, সরকার এই বিচারের রায় বদলাতে পারে না। তারা এই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের তাদের সদিচ্ছা দেখিয়েছে মাত্র। কিন্তু বিচারের রায় কী হবে, কে অপরাধী অথবা কে অপরাধী নয় সেই বিষয়ে সরকার (অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী) কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র স্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের।