আজকাল কৌতুক করতেও ভয় ভয় লাগে কেমন যেন! সবার যে অনুভুতি প্রবণ মন,কে কোন্ দিক দিয়ে আঘাত পেয়ে বসে বোঝা মুশকিল। তারপরও ভাবলাম বলে ফেলি একটা নিরীহ গোছের কৌতুক,কিই আর হবে! আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে শুরু হওয়া আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা দেখে কয়েকদিন ধরেই এই গল্পটা মাথায় ঘুরছিল-
কখন, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং তা কে ঘটাবে সে সম্বন্ধে জানতে রাষ্ট্রযন্ত্রের এখনো বাকি……হারবার্ট, নবারুণ ভট্টাচার্য
গণজাগরণ মঞ্চ কার্যক্রম শুরু হবার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গেছে। ঘটনাক্রমে প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মকার্ড খেলা শুরু করেছে। রাজনীতির মঞ্চে নতুন উদয় হওয়া বিএনপি জামাত সমর্থিত হেফাজতে ইসলাম এই মুহুর্তে রাজনীতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা দখল করতে পেরেছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটের বলি হচ্ছে ব্লগাররা ও ব্লগের মতো স্বাধীন মতপ্রকাশের মাধ্যম। ব্লগার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের প্রতিনিধি হয়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চও তার প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা অনুযায়ী বিকশিত হতে পারছে না।
শাহবাগের গণজাগরণের হলদে সাংবাদিকতার ঝান্ডাধারি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবির ২৫০ শিক্ষক এক বিবৃতি দিয়েছেন বলে দৈনিক সংগ্রামে এক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পত্রিকায় বিবৃতি আসে বিবৃতি যায়। অনেক সময় মূল কথা সেখানে থাকে না বা থাকলেও জায়গার সীমাবদ্ধতার কারণে বিবৃতির অনেক লেখা প্রকাশিত হয় না। তো ঢাবির আড়াইশো' শিক্ষক যেহেতু কোন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন সেহেতু আমার আগ্রহ ছিলো কোন সে আড়াইশো' শিক্ষক যারা এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং তারা ঠিক কী বলেছেন। ফেইসবুকে হদিস জানাতেই এক সৃহৃদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি মেইল করে দিলেন।
আপনি হয়তো এই মাত্র ফিরলেন শাহবাগ থেকে। আপনার উচ্চারিত স্লোগান এখনো ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে লক্ষ কন্ঠে, শাহবাগে, সারা দেশ জুড়ে। টুইটারের মাধ্যমে আপনি হয়তো জানিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ববাসীকে আমাদের প্রাণের দাবীর কথা। ফেসবুকে শেয়ার করছেন নিজের প্রত্যয়, আশা আর উৎকন্ঠার বাণী। অনলাইনে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নাশকতার, খণ্ডণ করছেন প্রজন্মের এই আন্দোলন নিয়ে সকল অপপ্রচারের। কিংবা হয়তো, আপনি পারিবারিক বা পেশাগত
শাহবাগ আন্দোলনের ১৭তম দিনে পুরো ২৪ ঘণ্টা প্রতি ৩০ সেকেন্ড পরপর ছবি তুলে বানানো হয়েছে প্রায় দুই মিনিটের এই টাইম-ল্যাপস ভিডিওটা। শাহবাগ আন্দোলনের বিশালত্বকে ধরে রাখার আরেকটা প্রচেষ্টা বলতে পারেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে খুব আশ্চর্য একটা ঘটনা ঘটে গেলো। আমাদের অতি পরিচিত শাহবাগ মোড়ে এক জন দু'জন করে সমবেত হলো হাজার হাজার মানুষ। কে তাদেরকে ডেকে আনলো? দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পল্টনে জনসমাবেশ ডাকে- আমরা দেখি। সেখানে দলীয় ব্যনার হাতে, দলীয় শ্লোগান মুখে অনেক লোক হাজির হয়। তাদের ডাক ছাড়া এতো লোক একসাথে হতে পারে- ভাবাই যায় না।অথচ শাহবাগে সবার চোখের সামনে সেটাই ঘটলো।আমাদের দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।
[justify]যেদিন নরপশু রাজাকার কাদের মোল্লার বিচারের রায় হল সেদিন সেই ৫ই ফেব্রুয়ারি ছিল আমার অসম্ভব ব্যাস্ততার দিন। খুব সকালেই কর্মস্থলে প্রবেশ, ইন্টারনেট তো অনেক পরের কথা মোবাইল ব্যাবহার করার সুযোগটাও পাইনি। রায় জানতে পারিনি দুপুর পর্যন্ত, কিন্তু রায় নিয়ে মনে কোন সন্দেহ ছিলনা। সাময়িক কাজের বিরতিতে যখন- একজনকে কেন মাত্র একবারই ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো যায়, একথা ভাবছিলাম তখনি এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া ফোনে বিরাট ধাক্কা। এটা কিভাবে সম্ভব, কাদের হারামিটার ফাঁসি হয় নাই ???
গত কদিনে বেশ কয়েকজনকে শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতে দেখলাম।এদের অনেকেই প্রথম থেকে এই আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। এখন তারা প্রশ্ন তুলছেন আন্দোলনের লাগাম কার হাতে এবং আন্দোলনে লাভটা হচ্ছে কী, এর গন্তব্য কোথায়?
রাজীবকে আমি চিনতাম না, তার লেখার সাথেও আমার পরিচয় ছিল না। যতদূর জানি রাজীব এমন কোন সুপরিচিত জনপ্রিয় ব্লগারও ছিল না জীবদ্দশায়। কিন্তু রাজীবের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। কারণ রাজীব শাহবাগ আন্দোলনের একজন কর্মী এবং শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম বলি। আমরা জানি না তাকে টার্গেট করার উদ্দেশ্য কি। রাজীবের চেয়ে বহুগুন বেশী জনপ্রিয় ব্লগার ছিল টার্গেট করার মতো। তাদের কাউকে না করে রাজীবকে টার্গেট করে প্রায়