বঙ্গবন্ধুর একত্তরের ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকেই পূর্ব বাংলার মানুষ মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল কোন একটি যুদ্ধের। যদিও তার প্রকৃতি ও প্রাবল্য সম্পর্কে সাধারন মানুষের কোন প্রকার ধারনা ছিলোনা। তবে তাদের মধ্যে মুক্তির আকাঙ্খা জাগ্রত হয়েছে প্রবলভাবে। ছাত্রনেতাদের এবং বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বক্তৃতা থেকে বাংলার মানুষ 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' হৃদয়ে ধারণ করেছে। এর রূপ সম্পর্কেও জেনেছে।
শহীদ রুমী স্কোয়াডের উদ্যোগে আয়োজিত আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের আবেগের প্রতি আমার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধা জানাই এই আবেগী তরুণগুলোর প্রতি। কিন্তু আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি একটি জাতীয় আন্দোলনে, একটি চেতনার যুদ্ধে আবেগ অন্যতম শক্তি হলেও তার সাথে প্রয়োজন বুদ্ধি-বিবেচনা-কৌশলের যথাযথ সমন্বয়।
যদি তুমি বড়োসড় আকারে মিথ্যা বলতে পারো এবং সেটা চালিয়ে যেতে পারো, শেষে এসে জনতা তোমার কথা বিশ্বাস করতে শুরু করবে।
একদিনের জার্মান চ্যাঞ্চেলর এবং হিটলারের প্রচারমন্ত্রী পল জোসেফ গোয়েবলসের বলা এই কথাটি আজ অবধি সত্যি হিসেবে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গণজাগরন নিয়ে আমাদের সাইবার প্রচারজগতে গোয়েবলসের কথার সত্যতা চোখে পড়ার মত।
৪ দিন হল শাহবাগ চত্বর প্রজন্ম চত্বরে পরিণত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ছিলাম, সে যেন এক প্রাণের মেলা, তারুণ্যের জাগরণ। একটা দল, নাম নেই, ব্যানার নেই, কিছু তরুণ তরুণীর স্লোগান আছে শুধু। পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, আমাকে দলে ডেকে নিল। শুরু করলাম তাদের সাথে স্লোগান দেয়া।
ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
গ-তে গোলাম আজম, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার