জনপ্রিয় ধারণায় রাম-রামায়ণ-বাল্মিকীরে কৃষ্ণ-মহাভারত-দ্বৈপায়ন থাইকা প্রাচীন ভাবা হইলেও ঘটনা কিন্তু ঠিক উল্টা। এর পক্ষে পয়লা জোরালো যুক্তিটা হইল দক্ষিণ দিকে আর্যগো ভারত-বিস্তারের কালক্রমের লগে দখলি-মানচিত্রের হিসাব। মহাভারতের ঘটনাস্থল থাইকা রামায়ণ ঘটনাস্থল আরো বহুত পূর্ব দিকে। আর্যগো দক্ষিণ দিকে পা বাড়াইবার ঐতিহাসিক সময়কাল মাথায় রাইখা রমিলা থাপারও মন্তব্য করেন যে রামায়ণ তৈরি হইছে ৮০০খিপূর অন্তত পঞ্চা
অবশেষে সব ছাইড়া দ্রৌপদী আর পঞ্চপাণ্ডব রওয়ানা দিছে বনবাসে। কুরুযুদ্ধের ছত্রিশ বছর পরে...
কুন্তীরা বনে যাবার বছর খানেক পর পাণ্ডবেরা বনে গিয়া দেইখা আসছিল তাদের। ধৃতরাষ্ট্র গান্ধারী কুন্তী ভীষণ দুর্বল আর বিদুর বদ্ধ উন্মাদ; ন্যাংটা হইয়া বনে বনে ঘোরে...
কৃষ্ণের পাঞ্চজন্য শঙ্খের লগে অর্জুনের দেবদত্ত শঙ্খ আর তার উত্তরে ভীষ্মের শঙ্খের নাদে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ শুরু হইয়া যায়। মাঠের পশ্চিমে কুরু আর পূর্বে খাড়ায়া আছে পাণ্ডব-পাঞ্চাল। দুই রঙের পোশাকে দুই পক্ষ দাঁড়াইছে যাতে পরিষ্কার চিনা যায় পাট্টি আর বিরোধীদল। হাতির সামনে হাতি; ঘোড়ার সামনে ঘোড়া; পায়দল খাড়া পায়দলের সম্মুখে; গদারু গদা বাগাইয়া আছে গদারুর দিকে; তিরন্দাজ-তিরন্দাজ মুখোমুখি আর বর্শাতি-ভল্লব খাড়া
আমাদের এতদঞ্চলের অর্থাৎ ভারত উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে অতিরঞ্জন একটি প্রচলিত প্রথা বটে। এই যেমন কাউকে আশীর্বাদ করতে বলা, 'হাজার বছর পরমায়ু হোক' বা 'শত পুত্রের জননী হও' ইত্যাদি। যদিও জানি বাস্তবে তা সম্ভব নয়। তবুও তো বলা হয়, না কি?
কুন্তীবুড়িটা বহুত হতভাগি হলেও ভাবতে পারে নাই যে নিজের সবচে বড়ো দুর্ভাগ্যটা নিজেরই গর্ভে জন্ম দিছে সে...
কুরুসভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই। যুধিষ্ঠিরের লগে আলোচনা কইরা সিদ্ধান্ত জানাইব কইয়া সিদ্ধান্তের লাইগা কৃষ্ণ এখন বইসা আছে কুন্তীর সামনে। কারণ কর্ণের বিপক্ষে পাণ্ডবদের সে যুদ্ধে জড়াবে কি না সেই সিদ্ধান্ত দিতে পারে একমাত্র কুন্তী....
তেরোটা বচ্ছর পর ভাতিজার কাছে ভাইঙা পড়ে কুন্তী- কৃষ্ণরে; পুতুল খেলার বয়সে নিজের বাপ মোরে দান কইরা দিছিল ভিনগ্রামে। বড়ো হইয়া বিবাহ করলাম এক সম্রাটরে কিন্তু রাজনীতির খপ্পরে পইড়া জঙ্গলে সংসার করলাম ষোলোটা বছর। বিধবা হইবার পর ভাসুরের চক্রান্তে আদাড়ে-বাদাড়ে ঘুইরা নাবালক পাঁচটা পোলারে বড়ো কইরা বানাইলাম রাজা। তারপর নাতি নাতনি লইয়া খেলার বয়সে পোলাদের অপকর্মে আরো তেরোটা বচ্ছর আমার বাচতে হইল দেবরের ভাতে...।
উত্তরার লাগে ছোটো ভাই অভিমন্যুর বিবাহে দ্রৌপদীর পাঁচ পোলা প্রতিবিন্ধ্য- সুতসোম- শ্রুতকর্মা- শতানীক আর শ্রুতসেনও আইসা হাজির হইছে বিরাটের দেশে। কিন্তু শৈশব থেকে তেরো বচ্ছর দূরে বড়ো হইয়া জোয়ান পোলারা যেমন না পারে মায়েরে মায়ের মতো ভাবতে তেমনি দ্রৌপদীও পারে না ফিরাইয়া আনতে তেরো বচ্ছর আগে হারাইয়া ফেলা মাতৃত্বের রূপ। তাই অভিমন্যুর বিবাহেও দ্রৌপদী নেহাত পাণ্ডববধূরূপে রূপের ঝলকানি দেওয়া সাজগোজ করে...
আগস্ত মুনির আশ্রম আর ভৃগুতীর্থ দেইখা বধূসরা-নন্দা-অপরনন্দা নদী পার হইয়া ঋষভকূট পর্বত ডিঙাইয়া কৌশিক নদীর তীরে বিশ্বামিত্রের আশ্রম পরিদর্শন কইরা যুধিষ্ঠিরের তীর্থযাত্রীদল আইসা উপস্থিত হয় মহেন্দ্র পর্বতে মহর্ষি লড়াকু পরশুরামের ডেরায়। এই ভ্রমণের গাইড ভবঘুরে মুনি লোমশ আর মালপত্র বহনের কামে আছে হিড়িম্বার পোলা ঘটোৎকচ। দলের বাকিরা তীর্থযাত্রী- যুধিষ্ঠির ভীম নকুল সহদেব দ্রৌপদী পুরোহিত ধৌম্য আর বহু অনুচর ব্
তোমার অর্জুন একটা বেশ্যা মাগির পুত। নিজের মায়ে তার শুইছে বারো মাইনসের লগে তাই আমারেও সে বিলাইয়া দিছে পাঁচ ভাইয়ের বিছানায়। কর্ণ কি মিথ্যা কয় আমি একটা বেশ্যা? একটা বেশ্যারে জুয়ার দানে তুইলা দিতে যুধিষ্ঠিরের যেমন যায় আসে না তেমনি একটা বেশ্যারে কেউ বিবস্ত্র করলে অর্জুনেরও আসে যায় না কিছু...