প্রায় তিন বছর পর আজ ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলার রায় হতে যাচ্ছে। এই হত্যাকান্ডের দায় দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে আল কায়েদা অফ ইনডিয়ান সাবকনটিনেন্টের সহযোগী সংগঠন আনসারুল্লাহ স্বীকার করে।
রাজীব হায়দারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না। এমনকি তার কোন লেখাও আমার কখনও পড়া হয়নি তার মৃত্যুর আগে। কিন্তু একটা অপরিচিত মানুষ কারো জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, তার সবচেয়ে বড় উদহারন আমার কাছে এই রাজীব হায়দার।
কসাই কাদেরের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলো থাবা বাবা। তার সঙ্গে ছিলো আরো ব্লগার, ছাত্র, দেশের মানুষ। ফাঁসি ফাঁসি করে ১১টা দিন সবাই গলা ফাটিয়েছে। ধৈর্য দেখিয়েছে। যেদিনই আন্দোলনে ধীরে চলার ঘোষণা এলো লাশ হলো থাবা বাবা। কোথায় কোথায়? মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লার মিরপুরেই।
জামাতের কোন পদক্ষেপই ভুল বা হঠকারী সিদ্ধান্ত না, এটা জেনে রাখুন। আজকে ব্লগার থাবা বাবার হত্যাকান্ড একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। আর এর পেছনে কাজ করেছে জামাতের দুর্দান্ত কিছু স্ট্র্যাটেজি।
একটা জিনিস চিন্তা করুন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে একজন মানুষের মতামতের জন্য তাকে হত্যা করা আপনি কি সমর্থন করেন? যদি কোন কারণে সমর্থন করেন তাহলে এই লেখাটা আর পড়ার দরকার নেই। আর যারা সমর্থন করেন না তারা পড়ুন।