গিয়েছিলাম প্রতিবেশী এক পিচকুর প্রথম বর্ষপূর্তিতে, কেক্কুক খেতে। বহুদিন পরে বাসায়, তাই আমিও প্রতিবেশীদের কাউকে চিনিনা- আমাকেও প্রতিবেশীরা চেনেনা। ফলাফল হল- গৃহকর্তা আমাকে সম্বোধন করলেন ‘ভাই’, আর পাশে দাঁড়ানো আমার জনককে ‘দুলাভাই’। পাকিস্তানী পাস্পোর্টধারী বাঙ্গালীদের (আজকাল আশেপাশে এই জাতের লোকজন দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি) মত খানিকক্ষন আত্মপরিচয় সঙ্কটে ভুগলাম।
কাদের মোল্লার ফাঁসির মধ্য দিয়ে নাকি পাকিস্তানের পুরনো ক্ষতকে জাগিয়ে তোলা হয়েছে। এই কাদের মোল্লার নাকি অপরাধ ছিল সে অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রতি অনুগত ছিল। আজ ৪২ বছর পর যদি তোদের এমন বধোদয় হয়ে থাকে তাহলে কেন এতগুলো বছর এই পিশাচগুলোকে এদেশে ফেলে রাখলি তোরা? নিয়ে যেতে পারলি না তোদের পাকিস্তানে। উপরন্তু আমাদের ক্ষতের উপর মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে রাজাকারকুলশিরমণি গোলাম আজমকেও পাঠিয়ে দিলি বাংলাদেশে। এখন তো সত্যিই জানতে ইচ্ছে করে এসবের মাঝে কি অন্য কোন মতলব লুকিয়ে ছিল?
০১।
আজকে দিকে দিকে আলোর মিছিল দেখে মনে পড়ল, আলোর গল্পটা পুরো শেষ হয় নি। আগের পর্বে ইলেকট্রনের ওঠানামায় কি করে আলো বের হয়, কিংবা আলোর গুঁতোয় কি করে ইলেকট্রন (জামায়াত শিবিরের মত) দৌড়ের ওপর থাকে সেই গল্প শুনিয়েছিলাম। হেলাল হাফিজের “নিখুঁত স্ট্রাটেজী” ছিলঃ ‘পতন দিয়েই আজ ফেরাবো পতন।’ দিনকাল যে পড়েছে, এমন নিখুঁত হতে প্রস্তুত থাকা দরকার। যাহোক, আপাতত আমার স্ট্রাটেজি হল “আলোক দিয়েই আজ বাড়াব আলো” এই গল্প বলা। বিজ্ঞানের খটোমটো গল্প ভেবে এড়িয়ে যাবেন না যেন।
কসাই কাদেরের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলো থাবা বাবা। তার সঙ্গে ছিলো আরো ব্লগার, ছাত্র, দেশের মানুষ। ফাঁসি ফাঁসি করে ১১টা দিন সবাই গলা ফাটিয়েছে। ধৈর্য দেখিয়েছে। যেদিনই আন্দোলনে ধীরে চলার ঘোষণা এলো লাশ হলো থাবা বাবা। কোথায় কোথায়? মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লার মিরপুরেই।