গনি মিয়া একজন গরিব বর্গাচাষী। তার নিজের কোনো জমি নেই। অপরের জমি চাষ করে……
এমনি গনি মিয়ার সাথে সখ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরার সময় থেকে। অনুবাদ নামক তত্ত থেকে। তারপর সময় বয়ে চলা … এভাবে চলতে চলতে বাস্তব পটে চলে আসে আরেক গনি মিয়া, মৃত্তিকা শিল্পী মাটি নিয়ে খেলা.. খেলতে খেলতে স্বপ্ন বোনা, যতটা না ইচ্ছা তারচেয়ে অনেক বেশি বাস্তবতা।
হ্যা, গনি মিয়া একজন কুমার। বাংলার অনেক বিলুপ্ত প্রায় শিল্প...
নিবিড় বাঁধনে এই ঘাস-ফুল-লতা-পাতার সাথে বন্ধুত্ব আমার। নেই কোন ভয় - হারিয়ে যাবার।
আমার যাযাবর জীবনের করুণ পথচলার দিনের আলো আমায় দিয়ে যায় ভেজা বাতাসের ভালোবাসা জড়ানো টুকরো টুকরো কণা।
মানুষের জীবনের মতো এতো জাত-বর্ণ ভেদ নিয়ে আসিনি এই পৃথিবীর বুকে। আসিনি কোন হিংসা-হানাহানি আর রক্তপাত ঘটাতে। আমার সেথে খেলা করে ঘাসফুল, ঝড়ে যাওয়া শিশির বিন্দু।
কি এক অদ্ভুত আলোকিত-অন্ধকার ...
সত্যি বলছি, দুস্টামি না, এই ফটোব্লগটা আসলেই হিজিবিজি। আমার আগের হাবিজাবি , আবারো হাবিজাবি এবং এবারো হাবিজাবি এর চেয়ে একেবারেই ভিন্ন এই ব্লগ। কারন ছবিগুলা এইখানে অন্যরকম। ছবিতে টেক্সচার লাগানো।
ব্যপারটা খুলে বলি। ছবি তুলতে বের হলে আমি অনেক ছবি তুলি। কিছু ভালো আসে, কিছু মাঝারি, কিছু একেবারে ওয়াক থু টাইপ। সমস্যা হয় থু টাইপ ছবি নিয়া। হয়ত দেখা গেল এক্সপজার ঠিক নাই, সুন্দর একটা কম্প...
আমার আকাশে তোমার প্রলয় মেঘ - খেলা করে, হারিয়ে যায়, কোন এক দূর্বোধ্য বিজলী চমকানো আলোর অন্তরালে। জনাকীর্ণ পানশালায় তুমি দিতে চেয়েছিলে রমণীসূলভ উষ্ণতা। কিন্তু হায়, সস্তার তিন অবস্থার মতো তোমার আদিম আগ্রহেরও পড়ে গেলো ভাটা। তুমি কি গান জানতে? নাকি আমি উইন্ড চাইমের স্বরলিপিকে তোমার করুণ কোন গুন-গুন ভেবেছিলাম স্বপ্ন ভাঙ্গা ভোরে?
যে রাস্তায় চলতে তুমি, তার প্রত্যেকটি বালুকণা আম...
পরীক্ষার ফলাফল দিলো। মনমেজাজ খারাপ হইলো যথারীতি। পরীক্ষার ফল মানে গরীবরা আরও গরীব, ধনীরা আরও ধনীরা আরো ধনী হওয়া! আমি যদিও এইবার মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে আসলাম
কিছু উরাধুরা ছবি দিলাম যেহেতু লেখালেখি আমারে দিয়া সম্ভব না!!
১। ছবিটা কেনু তুলছিলাম জানি না! তবে কাউরে ঘৃণা কইরা তুলি নাই
২। ধর্মের গা বেয়ে উঠছে অধর্ম
৩। প্রথম প্যানিং করার চেষ্টা
৪। এই ছবিটা তোলার পর আমার দুস্তরা স...
আগের হাবিজাবি ছবি আর হিজিবিজি কথা
সকাল থেকেই আজ রোদ আর উত্তরে বাতাসের বড্ড বাড়াবাড়ি। কেমন যেন শিরশিরিয়ে কথা বলছে গাছের পাতার সঙ্গে। মাঝে মাঝে টানা দীর্ঘস্বাসের মত শব্দ তুলে, হুড়মুড়িয়ে পায়ের কাছে খসে পরছে শুকনো পাতা।
#১
জুতোর মচমচ শব্দ তুলে ঝরা পাতা বিছানো পথ মাড়িয়ে এগিয়ে চলে ছেলেটি। নাহ, আজ অনেক অন্যমনস্ক সে। অনেক অগোছালো। আজ খেয়ালখুশির ঠিক কুল কিনারা পাচ্ছে না। নিজের আয়েত...
আমার ধারনা মানুষের সবচেয়ে প্রিয় সময়টা তার শৈশবকাল। মাঝে মাঝে মনে হয় ধুর, কেন যে বড় হয়ে গেলাম। অবশ্য আমি এখনও পিচকি। বড়দের অনেক ঝামেলা, ছোটদের সেইটা নাই। যা খুশি করার সেই মজাটা থাকেনা বড়দের। যখন ছবি তুলতে বের হই বা কোথাও যাই, ছোটদের মজার সেই যা ইচ্ছে তাই এর মাঝে আমার হারানো শৈশব খুঁজি। এই যেমন এই ছবিটার মত, যদি এভাবে আবার হেঁটে বেড়াতে পারতাম...
#১
অথবা, এইরকম হুদাই মাটিতে গড়াগড়ি করে খ...
স্কুলে পড়ার সময়ে আমার প্রাণের বন্ধু ছিল অনিক চাকমা। প্রথম যেদিন ক্লাসে আসল ওকে আমরা ঠেলেঠুলে ডায়াসে উঠিয়ে দিয়েছিলাম, গণদাবী - চাকমা ভাষায় কথা বলতে হবে। ধবধবে ফর্সা ছেলেটা লজ্জায় টমেটোর মত লাল হয়ে একটা কথাই বলতে পেরেছিল, “মুই ভাত হাং” (আমি ভাত খাই)। আমার ধারণা পার্বত্য চট্টগ্রাম আর আদিবাসীদের সম্পর্কে আমার সব ভালবাসা, কৌতুহল ওর কাছ থেকে পাওয়া।
সেই ভালবাসাকে কাছ থেকে ছুঁতে পের...
গত সপ্তাহেই ভেবেছিলাম সচলায়তনের পুষ্পকোষের জন্য ছবি তুলতে সামনের শনিবার অর্থাৎ আজকে ক্যামেরা নিয়ে বের হবো। কিন্তু বেমক্কা গরম আর আমার শরীরের কিঞ্চিৎ বেহাল অবস্থার কারণে আজকের সব কর্মসূচীই আমাকে বন্ধ করতে হয়েছে। ফুলের ছবির তুলতে না পারার দুঃখে যখন ভারাক্রান্ত, তখনি মনে পড়লো, এবার দার্জিলিং ট্যুরে বেশ কিছু পাহাড়ি ফুলের ছবি তুলেছি।
পাহাড়ি ফুল জিনিসটা ...
আমার সবেধন নীলমনি ক্যামেরাটা নিয়ে বের হয়েছিলাম গতকাল।
এমনিতে আমার ক্যামেরাটা নিয়ে আজকাল খুব বেশি বের হওয়া হয় না, লেন্সে কিছু সমস্যা হয়েছে। সম্ভবত ফাঙ্গাস পড়েছে। কী মনে হওয়াতে গতকাল নিয়েই বের হয়ে গেলাম।
বইমেলায় ছবিতোলা বেশ মুশকিল। এত লোকের ভীড় সুন্দর করে পজিশন ঠিক করে ক্লিক করার মুহূর্তেই কেউ না কেউ সামনে দিয়ে চলে যায়। এর উপর মেলায় এত ভীড়, ফ্ল্যাশ দিয়ে ছবি তুললে ধুলিকণাগুলি ...