কখন জানি জানালার পাশে বসে
কবিতার বই হাতে বিকেলের গন্ধমাতাল।
বুক ভরে বেখেয়ালি বাতাসের ঝড়,
আর চিবুকে তোমার কিছু এলোমেলো চুলের আলপনা।
বাহিরে বৃষ্টি, ভেজা পাতায় ভেজা পাখির ঘর;
উষ্ণ নিঃশ্বাসে ঝাপসা জানালার কাঁচ, অথবা ঝাপসা চোখ
অস্পষ্ট ধোঁয়াটে আকাশের টুকরো,
ঘরের বাহিরে আর এক ঘর। আর এদিকে-
আমরা, যুবক ও যুবতী, ছুয়ে দেবার সংকোচে বিলীন।
অনন্তকালের মুঠোয় কয়েকটি ভেজা মুহূর্ত!
তুমি দারাও এসে জানালার পাশে, সার্শীতে
তোমার গরম নিঃশ্বাসের ছাপ
আমার কবিতা লিখবার খাতা- গভীর রাত্রিতে
তারা জেগে উঠবে, বাড়বে নিলয়-অলিন্দের উত্তাপ।
কুয়াশা ফেরত শিশির কণায় লিখছে চোখের ভাষা-
ওভিদের প্রাচীন গ্রীক মনের বিশ্বাস,
আমার চিন্তায় ঘোর ট্র্যাজিক পরিণতি, আর সর্বনাশা
তোমার চোখে অগণিত কবির সর্বনাশ।
যে লিখছে সে তুমি, আমি নই, আমি নই এই পৃথিবীর,
আমি শুধুই রাতের অন্ধকার-
সূর্যের আলো খুব সহজভাবে পৃথিবী ছুঁয়ে দিলে
ভিতরের অনুভূতির মতো দগ্ধ হ'তো শরীর
কিছুটা জটিল তার আগমন তাই-
আমাদের ভাগ্যে জুটলো একখণ্ড আকাশ- নীল।
আমার ভাগ্য লেখা নেই হাতে কিংবা কপালে
আছে চোখের নিচে কালো দাগে
একটু জটিল হ'লে তার মুক্ত লাল ফোঁটায়- আগমনী গান গেয়ে
প্রতীক্ষায় বসে থাকতাম তোমার দিকে চেয়ে।
আরো একটু জটিল হ'লে অদ্ভুত সুড়ঙ্গ পথে
যোগাযোগ হ'তো রাত গভীরে