(১)
(প্রথম সাতটি পর্বে গ্রীক মিথলজি অনুযায়ী সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে ডিওক্যালিয়নের প্লাবন পর্যন্ত ঘটনাপঞ্জী ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছিলো। গ্রীক মিথলজির এই লেখাকে আমি কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি। সৃষ্টিতত্ত্ব ছিলো প্রথম ভাগ। দ্বিতীয় ভাগে থাকবে বিভিন্ন দেবতাদের গল্প- যা অষ্টম পর্ব থেকেই শুরু হচ্ছে। তৃতীয় ভাগে থাকবে বিভিন্ন ডেমিগডদের গল্প, চতুর্থ ভাগে বিভিন্ন বীর এবং অভিযানের কাহিনীসমূহ এবং পঞ্চম ভাগে থাকবে ট্রয়ের যুদ্ধ থেকে রোম নগরীর প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত। এই কাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমার জন্য এই সিরিজটা ধৈর্য সহকারে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া আর পাঠকদের জন্য হচ্ছে শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখা। দেখা যাক, এই রাস্তার কোথায় শেষ হবে এবং শেষে কি আছে!)
[justify]
ইউরোপা অপহরণ
জিউস যখন স্বর্গের একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে, সব দেবতাদের রাজা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছিলেন, সেই সময়ে পৃথিবীতে একজন মানুষ বাস করতেন, যার নাম ছিলো ডিওক্যালিয়ন। ডিওক্যালিয়ন ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তার বাবা ছিলেন অসাধারণ একজন!
মায়ের মন বড়ই অদ্ভুত, সে মা যদি গায়া হয়। টাইটান যুদ্ধে জিউস জয়ী হবার পর ক্রোনাসসহ অন্যান্য টাইটানদের টারটারাসে বিভিন্ন রকম শাস্তি দেন। গায়া চেয়েছিলেন তাঁর সন্তান সাইক্লোপস এবং হেকাটনখিরাসদের মুক্তি, তাই জিউসকে ক্রোনাসের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন, কিন্তু তিনি চাননি জিউস আবার টাইটানদের শাস্তি দিক! কারণ টাইটানরাও তো গায়ার সন্তান! তাই টাইটানদের শাস্তিতে ক্ষুদ্ধ গায়া তাঁর আরেক প্রজাতির সন্তান জায়ান্টদের আহবান করলেন। যীশুর জন্মের প্রায় চল্লিশ বছর আগে ওভিদ নামে এক রোমান কবি ছিলেন, তিনি লিখেছেন, গায়া তাঁর জায়ান্ট সন্তানদের আহবান করেছিলেন , “দেবতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করো”।
পৃথিবীর সব স্বৈরাচারী শাসকেরা যুগে যুগে তাদের রক্ষাকারীর বিরুদ্ধেই সবসময় খড়্গহস্ত হয়েছে। বোধহয় ব্যাপারটি এসেছে দেবতাদের কাছ থেকেই। যে জিউসকে টাইটান যুদ্ধে জয়ের জন্য টাইটান হয়েও প্রমিথিউস সাহায্য করেছিলেন, আরেকবার দেবী এথেনার জন্মের সময়ও জিউসকে সাহায্য করেছিলেন (এই ঘটনা পরবর্তীতে বলা হবে), সেই জিউসের নিকট হতেই প্রমিথিউস পেলেন অদ্ভুত এবং কঠোর শাস্তি, তাও সেটা মানবজাতিকে সাহায্য করার অপরাধে। হ
টাইটান ক্রোনাসের সময় মানবজাতির সোনালী যুগ ছিলো। টাইটান যুদ্ধে ক্রোনাসের পরাজয়ের সাথে সাথে সেই যুগের সমাপ্তি ঘটে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোন জিউস। জিউস তখনো তার ক্ষমতাকে পুরোপুরি নিষ্কন্টক করতে পারেননি। তাকে টাইটান যুদ্ধের পর আরো দুটি যুদ্ধে জড়াতে হয়- জায়ান্টদের সাথে এবং টাইফুনের সাথে। সেই দুটি যুদ্ধের আগে জিউসের ক্ষমতায় আসার প্রথম দিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে মানবজাতির সৃষ্টি। আসলে সোনাল
ক্রোনাসসহ তাঁর বার ভাই-বোনকে বলা হয় প্রথম যুগের টাইটান। সাধারণ অর্থে তাদের যে সন্তান-সন্ততি জন্মগ্রহন করেছিলেন, তাদেরকে বলা হয় দ্বিতীয় যুগের টাইটান। এই হিসেবে ক্রোনাস এবং রিয়ার ছয় সন্তানকেই দ্বিতীয় যুগের টাইটান বলা উচিত ছিলো, কিন্তু অলিম্পাস পাহাড়ে অবস্থানের কারণে তাদেরকে বলা হয় অলিম্পিয়ান। আবার টাইটান ওসেনাস এবং টেথিসের সন্তান তিন হাজার নদী দেবতা এবং তিন হাজার ওসেনিড নিম্ফকেও টাইটান বলা
ক্রোনাস বিশ্ব- ব্রক্ষ্মান্ডের রাজা হয়েই মা গাইয়ার গর্ভাশয় থেকে হেকাটনখিরাস এবং টারটারাস থেকে সাইক্লোপসদের মুক্ত করেন। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর ক্রোনাসের মনোজগতেও পরিবর্তন ঘটে, এই পরিবর্তন পরবর্তীতে পৃথিবীতে সব সময়েই হয়ে এসেছে। ক্রোনাস যখন দেখলেন হেকাটনখিরাসরা বিশাল শক্তির অধিকারী, প্রায় কাছাকাছি শক্তি সাইক্লোপসদেরও, তখন তিনি ভীত হয়ে পড়েন এবং মুক্ত করার বেশ কিছুদিন পরেই এদেরকে ও ইউরেনাসের রক্
মিথলজি শব্দটির আকর্ষন যেনো অনতিক্রম্য। ছোট থেকে বড়, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার মধ্যেই মিথলজির প্রতি এক দুর্নিবার আকর্ষন আছে। মিথলজি মানে কি?