২০০৭ সালে, বায়তুল মোকাররমের খতিবের কাছে গিয়ে ‘’তওবা’’ করে এসেছিলেন মতিউর রহমান, এককালের চীনপন্থি কমিউনিস্ট।
ধর্মানুভূতিতে আঘাতকারি একটি ব্যঙ্গচিত্র, প্রথম আলোর ‘’আলপিন’’ ক্রোড়পত্রে প্রকাশের দায়ে সে সময়ের আলপিন-সম্পাদককে চাকরিচ্যুত ও তাঁর সহকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাঝে মাঝে সামাজিক আড্ডায় শুনি, “ব্লগারদের মুখ খুব খারাপ। কোন শিষ্টতা নেই, শালীনতা নেই। আন্তর্জালের এই যুগে কেউ কারুর মুখ দেখে না তো, তাই যা ইচ্ছে তাই লিখে। বর্বরদের মতো ভাষা। ব্লগতো না, আগের দিনের পাড়ার “রক” আর কি!
১।
হাসনাত আবদুল হাই বিষয়ে প্রথম থেকেই একটা তিক্ত ধারণা মনের ভেতর ছিল। একবার এক সাহিত্য পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, হাই সাহেবের জুনিয়র একজন সহকর্মীকে কেন তার সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হলো এই নিয়ে তিনি ভয়ানক ঝগড়া করে সেই কলিগকে নানাবিধ "....বাচ্চা...." টাইপের নানান চূড়ান্ত বাজে গালি দিয়ে চলে গিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি সামান্য বসার আসন নিয়ে এইরকম করতে পারে, সে যে আসলে আস্ত একটা ছোটলোক তাতে কোনও সন্দেহ নাই। গালাগালির শিকার হয়েছিলেন যে সরল মানুষটি, তাঁকে আমি চিনতাম, তাঁর কাছে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির কথা শুনে দুঃখই লেগেছিল। পরে আরেকটি কান্ড জানতে পারি। হাই সাহেব "নভেরা" উপন্যাসটি লিখে খ্যাতিমান, আমাদের চেনাজানা অনেকেই এই উপন্যাসের ভক্ত। তো যাঁকে নিয়ে এই উপন্যাস রচিত, সেই অসামান্য শিল্পী নভেরা আহমেদকে ফ্রান্সে আমাদের খুব চেনা একজন সিনিয়র অভিনেতা বইটা পৌঁছে দিয়েছিলেন, নভেরা সেই বই একটুখানি পড়েই ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, "এই বইয়ের কথা যে বলবে বা এই বই যে সাথে নিয়ে আসবে সে আমার ঘরে ঢুকতে পারবে না, কেননা গোটা বইটাই অসত্য আর মনগড়া কথায় ভরা।" এবং, পরে বইটার কিছু তথ্য নিয়ে পরিচিত কিছু সূত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে দেখেছি, কথা ঠিক, হাই সাহেব মনগড়া বাক্য লিখতে ওস্তাদ।
হাসনাত আবদুল হাই-এর ল্যাঞ্জা
লুৎফর রহমান রিটন