(১৯৭৩ এর ২৩ সেপ্টেম্বর পাবলো নেরুদা চিলিতে মারা যান বা হয়তো খুন হন। তার দেড় মাসের মধ্যেই ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে ‘বিনোদন’ পত্রিকায় শামসুর রাহমানের এই লেখাটি প্রকাশিত হয়, যা সাধারণত কোথাও দেখি না। সম্প্রতি পত্রিকাটি হাতে আসায় ভাবলাম এই লেখাটি ব্লগে থাকুক। আর ভারতীয় কূটনীতিক জনাব মুচকুন্দ দুবের একটা কথা মনে পড়ল, উনি শামসুর রাহমানের কবিতা নিয়ে বলেছিলেন যে “বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে আমার যে লেখাপড়া তাতে সত্যি বল
অরণ্যে নিখোঁজ, কালচে শাখাটি ভেঙ্গে
তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে তুলে নিলে তার ফিসফাস,
শোনা যায় বৃষ্টি-রোদন মেঘের কণ্ঠ,
বোবা ঘণ্টার গান, আহত মনের দীর্ঘশ্বাস।
বহুদূর হতে পৃথিবীর পথে
উন্মেষের এই আর্তি তার নিগূঢ় গোপনে,
পল্লবের ছায়াতে হার মানে যেন
আধ-ভেজা ধূসরতার তীব্র শরতে।
ধীর জাগরণে টুটে গেলে সেই অরণ্য-স্বপন,
শাখাটির গান ঠোঁটে শিষ হয়ে আসে,
ঘোর লাগে মনে- তীক্ষ্ণ সুবাসে।