আজ রানা প্লাজা’র মর্মান্তিক ঘটনার এক বছর হয়ে গেল।
সব মিডিয়ায় বেশ ফলাও করে এসেছে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে জোরেশোরে লেখালেখি হচ্ছে, সে সময় ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করা অনেকে সেই দিনগুলোর সৃত্মিচারণ করছেন।
আর আহত, স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মানুষরা চোখের জলে দিনটি পার করছে।
১.
মোবাইলে খুব তীক্ষ্ণ এলার্ম বেজে ওঠে। পাশ ফিরে প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে কেয়া স্টপ লেখা যায়গাতে ছুঁয়ে দেয়। বিশ বছরের এই জীবনে তার কাছে সব থেকে কঠিন কাজ হচ্ছে এত সকালে ঘুম থেকে ওঠা! বুধ বারের সকালটাই এমন বিরক্তিকর! এদিন সকালে ক্লাস থাকে। ঘুম থেকে তাই অনেক আগে উঠতে হয়। আবার উঠতে ইচ্ছে করে না বলে আয়েস করে চা এ চুমুক দেয়ার সময় থাকে না। আবার চাইলেই এলার্ম বন্ধ করা গেলেও মা এর একটু পর পর ডাকাডাকি বন্ধ করা যায় না। তাই উঠতেই হয়। ক্লাসেও যেতে হয়।
তখন বেশ ছোট। কত হবে বয়স?
তাইলে পাউডা কাটাই লাগবো, ভাইজান? মেয়েটা আকুল হয়ে প্রশ্ন করে।
"এখানে সামান্য প্লাস্টার খসে পরেছে,তেমন গুরুতর কিছু হয়নি।"
[ সাভার থানা নির্বাহী কর্মকর্তা; রানা প্লাজায় বিশাল ফাঁটল ধরা পরার পর দেখতে এসে]
"অন্যায় করে কেউ পার পাবে না,শাস্তি দেয়া হবে"
[স্থানিয় সাংসদ মুরাদ জং : ভবন মালিক সোহেল রানা কে ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাচার করে মিডিয়ার সামনে]
"ঐ মানুষ গুলো মুল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে গিয়ে ভবনচাপা পড়েছে।"
সাভারে “রানা প্লাজা” ধ্বসে পড়ে এ পর্যন্ত আড়াইশ’য়ের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আরো অসংখ্য লোক এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ভবন ধ্বসে পড়া বা এ জাতীয় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হয় নাগরিকদের উদ্ধার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কী করণীয় বা কী করণীয় ছিলো তা আলোচনা করাই এ লেখার উদ্দেশ্য।
ফেরেশতা তুই, না পরী,
তা হয়নি কারো জানা,
ছোট্ট মানুষ, ক্যান এলি তুই?
কেউ করেনি মানা?
কীসের এত বল তাড়া তোর?
বল কীসে তোর ভাল?
মায়ের আধার সইল না আর?
চাইলি এতই আলো?
অন্ধকারের আড়াল ঘেষে
এই যে তোরা এলি-
ঘুমোয় মা তোর, কাঁদছে খালা,
বল না কী আর পেলি?
ভাবিস কেঁদে চোখ ভাসাবি,
মিলবে সবই তাতে?
ছোট্ট রে তুই, বুদ্ধি কোথা?
নেই কিছু তোর হাতে-
নেই বিছানা, নেই বালিশ আর
নেই মশারী, কাপড়,
সাভারে ধ্বসে পড়া ভবনের মালিক ছিলেন সোহেল রানা। ধ্বসে পড়া ভবনে যেদিন ফাটল দেখা দেয় সেদিনও তিনি টিভিতে দেয়া এক স্বাক্ষাতকারে বলেছেন ভবন ঠিকই আছে। ঘটনার দিনও ভাবনে থাকা গার্মেন্টসগুলোতে শ্রমিকদের আসতে তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধ্য করেছেন বলে জানা যায়। ঘটনার পর আমরা জানতে পারি যে সোহেল রানা এই ভবনটি একজনের যায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন। এই কাজে তিনি ব্যবহার করেছেন তার রাজনৈতিক পরিচয়।পত্রিকা মারফত জা
গ্রাজুয়েশন লাইফের পুরোটাই এবং ইন্টার্নশিপ এর সময় কয়েক মাস কেটেছিল পঙ্গু হাসপাতালে। সাথে সেশন জট মিলিয়ে মোটামুটি ৬ বছর। ক্লাসে যাবার সময় শর্টকাট মারার জন্য শিশু হাসপাতালের গেট দিয়ে ঢুকতাম। যাওয়ার সময় শিশু হাসপাতালের আই.সি.ইউ এর পাশ দিয়ে যেতে হত। আই.সি.ইউ.