যারা শিক্ষক হয়েছেন তাদের একাংশ পুলিশ বা আমলা হতে চেয়েছিলেন, এমনকি অনেকে এখনও তা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ।শিক্ষক হওয়ার পরও যাদের মাথা থেকে ক্ষমতাচর্চার আশা বা সেই মানসিকতার মোক্ষ ঘটেনি তারা শিক্ষকতা পেশাকে নানাভাবে জোতদার-জমিদারির স্তরে নামিয়ে এনেছেন ।মনের গোপন গহীনে মাতুব্বরি বা মোড়লপনার সাধ তারা পুষে রাখেন যত্নে ।সুযোগ পেলেই সেই সাধ দাঁত-নখ বের করে সামনের নিরীহ প্রাণীকে আক্রমণ করে বসে ।আবশ্যকভাব
অনেকদিন আগে ‘যখন পুলিশ এলো’ শিরোনামে কয়েক পর্বে আমি লিখেছিলাম পুলিশ সম্পর্কে একেবারে প্রত্যক্ষ কয়েকটি অভিজ্ঞতার কথা।এগুলো এতটাই বাস্তব যে অনেকের অনেক অভিজ্ঞতার সাথে হুবহু মিলে যেতে পারে। অনেকদিন পর আবার পুলিশ প্রসঙ্গে লিখতে হল। বাবুল মাতবর বা তার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা বা সিটি কর্পোারেশন কর্মকর্তা বিকাশ কিংবা তারও আগে বিশ্বাবিদ্যালয় ছাত্র খলিল (সম্ভবত) এমন আরও অনেকের ক্ষেত্রে পুলিশ যে পোশা
বাংলা একটা সিনেমা তে দেখেছিলাম- নিরপরাধ আকজন আসামিকে ছেড়ে দিতে উৎকোচ না পেয়ে পুলিশ অফিসার নিজের পিঠ চুলকে নিয়েছিলেন আসামিকে দিয়ে। যাইহোক বাংলা সিনেমার গল্প আজ থাক। বরং গতরাতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা বলি। গতকাল আমার ছোট ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম উত্তরা তার হোমিও ঔষধ আনতে। ডাক্তারের সাথে দেখা করে ঔষধ নিলাম। রওয়ানা দিলাম গরিবের প্রাইভেট কার (সিএনজি) নিয়ে। চালক বললেন, "মামা মিরপুর যাইবেন তো, বেড়িবাঁধ দিয়া যাই।
আমি একজন পুলিশ অফিসারের সন্তান !
ছোটবেলা থেকে দেখতে দেখতে বড় হয়েছি একজন পুলিশের জীবন কি। এমনও হয়েছে বাবার সাথে দেখা হয়েছে একমাস পর, যদিও একই বাসায় থাকি আমরা। আমি বারোটায় ঘুমিয়ে যাই, তিনি ফেরেন রাত দুইটায় ! আবার ভোরে চলে যান। যখন বাসায় থাকেন ও দীর্ঘ ক্লান্তি আর অবসাদের পরে গভীর ঘুমে অচেতন থাকেন। ঘরে বোম ফাটালেও আব্বার ঘুম ভাঙ্গতো না তখন। আমরা এই নিয়ে হাসাহাসি করতাম।
আমি আর রাজি রিক্সা করে সিলেটের কোর্ট পয়েন্ট দিয়ে যাচ্ছি। খুব বেশি দিন আগের কথা না। ইলিয়াস আলীর খোঁজে পুরো বাংলাদেশে তখন খোঁজ দ্য সার্চ অবস্থা। সিলেটের অবস্থা তো পুরাই উড়াধুড়া। পোস্টারে আর ব্যানারে পুরো শহর ইলিয়াসময়। হঠাৎ একটা ব্যনারে চোখ আটকে গেল। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে ব্যনারের একটা লাইনে চোখ আটকে গেল। ব্যানারে ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেবার পরিণতি সম্বন্ধে কিছু লেখা না থাকলেও ফিরিয়ে না দেয়ার পরিণতি স
(এক)
-“হ্যালো এটা সল্টলেক থানা? আমি সিটি সেন্টার থেকে বলছি, এখানে একটা খুন হয়েছে। শিগগিরি আসুন।”
-“খুন হয়েছে কি করে জানলেন? আপনি দেখেছেন জখম না খুন? খুন কি মশাই অতই সোজা?”
কাজী সৈয়দ আজিজুল হক নামে এক বাঙালি পুলিশ অফিসার বৃটিশ শাসনামলে করাঙ্ক শ্রেণীবিন্যাস (ফিঙ্গারপ্রিন্ট ক্লাসিফিকেশন) পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে একে সহজতর করে তোলেন এবং এর সাহায্যে অপরাধী শনাক্তকরণের কাজটির জটিলতা [১] বহুগুণে কমিয়ে আনেন । এর এক শতাব্দী পর বাংলাদেশের পুলিশ সম্পর্কে খবর এসেছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসপাতালের ফরেনসিক রিপোর্টের ভাষা বোঝেন না [২]।
কাল থেকে মনটা ফুরফুরে ছিল বঙ্গোপসাগরের ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার খবরে। আজ পত্রিকার প্রথম পাতায় এই বিজয়ের খবর বেরিয়েছে লিড নিউজ এ। কিন্তু এস আই আলম, মানে পুলিশের সেই ওসি , সব আনন্দে জল ঢেলে দিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদেরকে পাশবিক নির্যাতন, মিথ্যা মামলা হুমকি, তিরস্কার, গালাগালি, মানসিক নিপীড়ন কি করেনি সে ?
মিলন নামের এই কিশোরটির দিকে যতোবার তাকাচ্ছি ততোবারই চোখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি। এক ধরনের মস্ত অপরাধবোধে আমি তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছি না।