১
“এই যে! এই যে! বললাম না? প্রতিদিনই যায়!”
মাথার উপরে আওয়াজ পেয়ে মুখ তুলে দেখি তিনতলা বাসার দোতলার দুই ফ্ল্যাটের দুই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে এক, দুই, তিন – তিনজন বছর ৩-৮এর খুকী। ডানের ব্যলকনিতে দাঁড়ানো পিচ্চি সাথীদেরকে নিজের পূর্বোক্ত কোন কথার হাতেনাতে প্রমাণ দিতে পেরে মহা ভাব নিয়ে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে। আর বামের বারান্দায় দাঁড়ানো অপর দুই পিচ্চি চোখ গোল গোল করে আমাকে দেখছে।
(বড়বেলা!) টাইমলাইন: শুণ্য হইতে প্রাইমারি
আমি বেশ বড়ো হয়ে সাইকেল চালানো শিখেছি। বড়ো হয়ে বলতে ক্লাস সিক্সে পড়ি খুব সম্ভবত তখন। যে সব বুদ্ধিমান মানুষ ক্লাস সিক্সকে বড়ো বলায় হয়তো চোখ ছোট কিংবা 'বড়ো' করে ফেলেছেন তাদের জন্য বলতে হচ্ছে বড়ো হয়ে বলার কারণটা হচ্ছে আমার বড়ো(!)ভাই।
আমরা তিনজন । দুজনের কাছে একটা করে টাকা আর তৃতীয় জনের কাছে একটা আধুলি । তিন টাকা দিয়ে আধ ঘণ্টার জন্য সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায় । আড়াই টাকা দিয়ে হয়না - তাতে কি? আমরা বাঙ্গালির ছেলে - দরাদরি করতে জানি । আড়াই টাকাতেই রফা হল
একটা সাইকেল আমার শৈশবের অনেক বড় আনন্দের উপাদান হয়ে ছিলো। সাইকেলে চড়তে শেখা, প্রথমে সাইকেল হাতে নিয়ে ছোটা, তারপর বাঁকা হয়ে মাঝখানের ফাঁকা দিয়ে পা ঢুকিয়ে অনেক কসরত করে চালানো কারন সিটে বসে প্যাডালের নাগাল পেতামনা! তারপর এক দিন রডের উপর বসে “ব্যথা” উপেক্ষা করে তুফান বেগে সাইকেল চালানো। ঝুঁকিপূর্ণ, জান হাতে নিয়ে চালানো যাকে বলে!
তারপর কোন একদিন আবিষ্কার করলাম সাইকেল চালানো আসলে হচ ...
আমার একটা নীল রঙের সাইকেল ছিল। কোম্পানীর নামটার আদ্যক্ষর ছিল এস্। এমটিবি লেখা ছিল কোথাও, অর্থাৎ মাউন্টেন বাইক। পাহাড়ী এলাকায় চালিয়ে নামের সার্থকতা যাচাই করা হয় নি।
আত্মবিশ্বাস শব্দটা আমার অভিধানে নেই, থাকলেও ভুল বানানে। তবু প্রাক্তন প্রাথমিক স্কুলের মাঠে আছাড় খেতে খেতে কিভাবে যেন শিখেই ফেললাম সাইকেল চালানোটা। ফাইভ কি সিক্সে পড়ি তখন। ভোরবেলা বাবা নিয়ে যেতেন সামনে বসিয়ে। ...
০
প্রথম বাইসাইকেল পেয়েছিলাম (নাকি সাইকেলটাই আমাকে পেয়েছিল) পাঁচ বা ছয় বছর বয়সে । এর পর প্যাডেল মারতে মারতে পার করে ফেললাম প্রায় দশ বছর । এর মধ্যে আমি কলেবরে বেশ খানিকটা বড় হয়ে উঠেছি, সেই সাথে সাইকেলও । শেষ সাইকেলটা চালিয়েছিলাম মেট্রিক পরীক্ষার পর কিছুদিন পর্যন্ত । এরপর ঢাকায় পাকাপাকি ভাবে থাকতে চলে আসি । ঢাকাবাসী হওয়ার জন্য টাকার হিসাবের বাইরে যেসব মূল্য শোধ করতে হয় তারই একটা হ...
১
মামু, অর্থাৎ আইন-শৃংখলা রক্ষী পুলিশ বাহিনীর সম্পর্কে বাঙালি হওয়ার সুবাদে মনে মনে একটা ভীতি জন্মগত ভাবেই প্রোথিত হয়ে গেছে ... তাই নীল-জামা, কালো-জামা দেখলেই একটু আঁতকে উঠে ভিজা বিড়াল সেজে রই। এহেন এই মামুর সংস্পর্শে দেশে পড়তে হয়...