১।
বহুদিন পর আবার বিজ্ঞানের গল্প- আজকে পরমাণুর হাঁড়ির খবর দেব। নাম দেখে আবার ভেবে বসবেন না যে পরমাণু বুঝি তারেকাণুর খালাত ভাই। এই লোকের হাঁড়ির খবর রাখা সম্ভব না। এই দেখি এভারেস্ট তো ঐ কুমেরুতে। আজ পম্পেইয়ে মৌজ করে তো কাল এক্সট্রা টিকেট নিয়ে সাম্বা দেখতে যায়। কখনও আবার নাৎসি ক্যাম্পে ঘুরে এসে মনটা খারাপ করে দেয়। এত অ-স্থির মানুষের খবর রাখা আমার কাজ না। ঘুরে ফিরে তাই কাঠখোট্টা বিজ্ঞানই ভরসা। বিজ্ঞানের গল্পগুলো অবশ্য কম মজার না। সত্যপীরের বিক্রম যেমন খালি হাতে বাঘের চোখ উপড়ে বেড়ায়, বিজ্ঞানীরা তেমনি প্রকৃতির কাছা খুলে দিতে উদ্বাহু হয়ে বসে থাকেন। কি সুবিশাল ছায়াপথের ওপার, কি ছোট্ট পরমাণুর গভীরে- কোথাও তার লুকোবার জায়গাটি নেই। আর বিজ্ঞান তো আর অকাট-নিশ্চল ঐশীবাণী নয়। সে হল একেবারে আফ্রোদিতির মত চঞ্চলা। আজ ওমুক বিজ্ঞানীর সাথে খাতির তো কাল তমুক, পরশু থমুক- এমন। যখনই বিজ্ঞান দেখে যে আগের বিজ্ঞানীর তত্ত্বের সাথে তার আর বনছে না, ওমনি সে নতুন কোন বিজ্ঞানীর মাথা থেকে নতুন রূপে বের হয়। পরমাণুর হাঁড়ির খবর তাই দিনে দিনে কেবলই বদলেছে।