আরও একবার ঘোরাই ক্যালিডোস্কোপ (বিশুদ্ধ উচ্চারণে ক্যালাইডোস্কোপ। কিন্তু ছোটবেলায় যে নামে চিনেছি তারে সেই নাম-ই রয়ে গেল এই খানে)।
নির্দিষ্ট করে কোন কিছু নয়। কিছু একটা নিয়ে - যা হঠাৎ করে জলের অতল থেকে উঠে এসে ঘাই মেরে গেল অথবা নিরন্তর কুট কুট করে কামড়ে যাচ্ছে । সেই খুচরো হাসি-কান্নাগুলো ভাগ করে নেওয়া। প্রধান স্রোতের খবরদারী কি খবর্দারী করা মাধ্যমে হলে বলতাম ভাগ করে দেওয়া। সেখানকার মহাজনেরা দিয়েই খুশী। নিতে হলে তারা লেখার কি অর্থ পড়ুয়া করল তার থেকে লেখার অর্থ প্রকাশক কি করল সেটা যে অর্থ সকল অনর্থের মূল বলে প্রচারিত সেই অর্থে নিতে পছন্দ করেন। ব্লগের লেখা সেই মিনারবাসীর নয়, সাগরতীরের, মিলাবে-মিলিবে, যাবে না ফিরে।
নারী দিবস। মাতৃ দিবস। আমার মা-এর কাছে এই দিবসগুলি কোন বিশেষ বার্তা আনে না। তা বলে বার্তাগুলি থেকে তিনি দূরে থাকেন না। নিয়মিত খবরের কাগজ পড়েন। খবরের সাথে নিজেকে সংপৃক্ত রাখেন। বস্তুতঃ সেই পাঠ-ই তাঁকে সচল রেখেছে। কিন্তু তাঁর চারপাশের দুনিয়ায় তিনি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছেন। তাঁর মানসিক আর শারীরিক সক্ষমতার যতটা অবশিষ্ট আছে, তাতে উন্নত দেশের বাসিন্দা হলে তিনি এখন-ও সক্রিয় জীবনযাপন করতেন। কিন্তু নিজের দেশে, সন্তানের সংসারে শিশুপালনের ভূমিকা পার হয়ে গেলে নিজের জনেদের মধ্যে থেকেও অনেক কাল-ই তিনি তাঁদের চলমান, ঘটমান জীবন প্রবাহ হতে বিচ্ছিন্ন। তাঁর মত, তাঁর বয়সীরা আরও অনেকই। সেখানে সেটাই রীতি।
ইচ্ছে করে ইজেল দাঁড় করাই একটা। তারপর তাতে তুলির কোমলতা আর ব্রাশের বলিষ্ঠ টানে - না, না, পিকাসো কি মাতিসে নয়, আমি, একান্তই আমার নিজস্ব এমন একটা ছবি উপহার দিই তোমাকে যে, বুঝতেই পারছো!
ছোট্ট একটুকরো বাগান বানাতে পারি কি! চমৎকার সব জিনিয়া কি নাইন ও’ক্লক এ ওর গায়ে ঢলে ঢলে হেসে গড়িয়ে যাবে। আর তাদের সে আলো দুলতে থাকবে তোমার চোখের তারায়, তোমার নিজের বাগান দেখে।
সেদিন কি হল বলি তবে। প্রথমে ত সকাল হল। আর তারপর, মিতুল - ও হো, বলাই ত হয়নি মিতুল কে। ঠিক ধরেছ। মিতুল একটা ছোট্ট মেয়ে। তুমি ত অনেক বড় হয়ে গেছ। কত কি জানো, কত কথা বল। মিতুল তোমার মত বড় নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কথা বলে যে সবাই বলে,
- বাব্বাঃ, মিতুল দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে!
মিতুল এখনো অনেক কিছুই জানে না। কিন্তু জানতে চায় অনেক।
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
পাঁচ মাসের উপর হয়ে গেছে ক্যালিডোস্কোপ-কে নামিয়ে রেখেছিলাম। আবার তুলে নিলাম।
ক্যালিডোস্কোপ ঘুরছে। একই উপাদানগুলি নিয়ে গড়ে উঠছে নানা ছবি। কাকে ছেড়ে কার কথা লিখি! এদিকে, উপাদান ত অতি সামান্য, গড়পড়তা বালকের গড়পড়তা জীবনের টুকিটাকি। অবশ্য, সামান্য উপাদানে কি আর অসামান্য কাজ হয় না! হয় বৈকি! অসামান্য মানুষেরা করেন সে সব। এ ছবিগুলি সে’রকম নয়, নিতান্তই সামান্য, তুচ্ছাতি তুচ্ছ! ইতিহাস ত নয়ই, কোন গল্প বই হিসেবে পাঠযোগ্যতারও দাবীদার নয়, আদৌ কোন পাঠযোগ্যতা আছে কি না তাতেও দ্বিধান্বিত হয়ে আছি। তাহ’লে কেন আর পাঠকের সময় নষ্ট করা! হয়ত পাঠক বেঁচে যাবেন মডারেটরদের অক্লান্ত প্রয়াসে। যদি না যান, জানিয়ে রাখি, তাদের বেদনাকে আরও প্রলম্বিত না করাতে চাইলে, নির্দ্বিধায় আওয়াজ দিতে পারেন, ক্যালিডোস্কোপ যে কুলুঙ্গী থেকে নেমে এসেছিল, সেখানেই তাকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেব।
হালনগদঃ
চোর আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকা চুরি করেই চলেছে।
চোর আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকা কর্তৃক আজকে জুলাই ১৮ , ২০১৪-র চুরি, সম্পাদকীয় পাতায় নীতি গল্প -
http://www.alokitobangladesh.com/editorial/2014/07/19/85967
উপরের লেখাটির জন্য আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকা চুরি করেছে আমার করা ঈশপের গল্প-র অনুবাদের ৫ নং গল্প। আমার অনুবাদের লিঙ্ক এখানে
http://www.sachalayatan.com/ek_lohoma/50053
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।