ইভানের ঘরের জানালাটা বেশ বড় । বাড়ীটা ওর দাদার আমলের, বর্তমানে এরকম জানালাওয়ালা বাড়ি কোথাও দেখাই যায় না । জানালা টা খুললেই দূরের পাহাড় আর বড় বড় গাছের সারি দেখা যায় । যে কারোরই এমন সুন্দর দৃশ্য দেখতে ভাল লাগবে । তবে ইভান সব সময় জানালাটা বন্ধ করে রাখে এবং পর্দাও নামিয়ে রাখে । এর পেছনে জটিল কোন কারণ নেই, এইসব সৌন্দর্য তার কাছে পুরোপুরি অর্থহীন, এই যা । তবে আজ জানালা খোলা এবং সে জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আ
আজ সারাদিন ও বাড়িতে কাজ করতে করতে হাতে প্রায় ব্যথা হয়ে গেছে। এখন এই শেষবেলায় বাটিতে একটু সর্ষের তেল নিয়ে মালিশ করতে বসে চিনু। ফাঁকা বাড়ি, বিকেলটা কেমন যেন অলস লাগে। এই মুহূর্তে হাতে কাজ নেই তেমন, রান্না-বাড়া শেষ। একটু পরে যতীন ফিরবে, তারপর ছেলেটাও-তখন হয়ত আবার খাওয়া দাওয়া মাজা ঘষা, দু’একটা আলাপ আর তারপর ঘুম।আপাতত ছোট্ট উঠানটায় বসে এক হাতে বাটির তেল মেখে আরেক হাতে ঘষে ঘষে লাগাতে থাকে চিনু। পাশের বা
১.
ধড়ফড় করে মাঝরাতে বিছানা থেকে উঠলেন আমজাদ সাহেব। সেই একই দুঃস্বপ্ন। আবারো। প্রকাণ্ড একটা মাঠে তিনি দমবন্ধ করে পাগলের মত দৌড়াচ্ছেন; দুই কোলে দুটো বাচ্চাকে নিয়ে। পেছন পেছন অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় ধেয়ে আসছে ভয়ালদর্শন একটা কালো গুইসাপ। কোলের বাচ্চা দুটোর কালো চোখ, কালো রঙ। দুইজনে অলটার্নেট করে করে নিয়মিত বিরতি দিয়ে বলে যাচ্ছে- ইয়াক, বাবা, তোমার গায়ে ঘামের গন্ধ।
আমজাদ আলীর গুইসাপ ভীতির শুরুটা একেবারে বাচ্চাবয়সে। যে বয়সে মানুষ জোনাকি দেখে মুগ্ধ হয়, ইঁদুর দেখে মুগ্ধ হয়,
“.........বুকে ভর দিয়ে এগোই, কালো প্রেমে মৃত্তিকার আলিঙ্গনে। এইখানে কাদায় কাদায় দশটি পায়ের ছাপ দিগন্তে দেখায় সূর্যাস্তের পথ। দুপাশে যন্ত্রমূখী মানুষের ভীড়ে আমি পাগল বৃক্ষ আর সবুজের কথা চেঁচাই আপনমনে। কিন্তু কেউ শোনে না, কেউ বোঝে না। রক্তে শীর্ণ প্রলয় আর নখে উদ্ভ্রান্ত আঁচড় তুলে কেউ দ্যাখে না। চোখে পেরেক আঁটে দু-তিন জনে, অল্পদরে বেচে হর্ষ আর তা কিনে গোগ্রাসে গিলতে থাকে বিষন্নদৃষ্টি...
এক. দুঃস্বপ্নের হাতছানি
দৌড়াচ্ছি অনেকক্ষণ ধরে। চারপাশে ঘন জঙ্গল। গাঢ় অন্ধকারে ঢাকা। সরু একটা পথ ধরে দৌড়াচ্ছিলাম, কোথায় কখন যে সেটা হারিয়ে ফেলেছি খেয়ালও করিনি। মাঝে মাঝে বিজলী চমকাচ্ছে। বৃষ্টির বেগও বেশ বেড়েছে হঠাৎ করেই! পিচ্...
..................তারপর দেবী কুপিত হলেন। তার ভ্রুকুটি থেকে সহস্র শিখা এসে সহসাই আমার শরীরে প্রবেশ করলো। যেন একরাশ চন্দ্রালোকে ঝলসে গেলাম আমি।
কত সহস্র রাত কেটে গেল। নগরবাসী তার ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত শরীর এলিয়ে ...