পেতে পেতে দুঃখ এখন
দিতেও পারি,
তবু আছি আগের মতোই
অসংসারী-
অগোছালো ছিলাম যেমন
ইচ্ছামতো-
ভেঙে গড়ে নতুন আবার
ভাঙাই যেতো,
সবকিছু আছেই তেমন
কেবল জানি,
ভালোবেসে দুঃখ দেয়ার
মন্ত্রখানি-
লোকে ডাকে দুঃখওয়ালা
যদিও আমি,
হেসে হেসে মিহিন আঘাত
কমই জানি-
দিতে পারি দুঃখ যেটুক
নিজের মতো,
আহা, যদি ওটুক শুধুও
তোমার হতো!
সিডনি, জুন- ২০১৬।
তুমি নাকী আগুন পোষো
কাছে গেলেই পুড়িয়ে দেবে!
মিষ্টি ফুঁয়ে কে তবে আজ
চায়ের গরম জুড়িয়ে দেবে?
পোড়ার ঠোঁটে নরোম রেখে
যন্ত্রণা কে উড়িয়ে দেবে-
মনের ভুলে ফেলে আসা
চাবিটা কে কুড়িয়ে দেবে?
কপাল বেয়ে অগোছালো
চুলগুলো কে ঘুরিয়ে দেবে-
শার্টের বোতাম না লাগানোর
ভুলগুলি কে ধরিয়ে দেবে?
বুকের কাছে একটু আসার
শাসনে কে চড়িয়ে দেবে-
কষ্ট পাওয়ার নষ্ট পাথর
আয় বলে কে সরিয়ে দেবে?
সকাল এবং বিকালগুলো
[ এই সিরিজের প্রতিটি ঘটনা আমার আশেপাশের মানুষের জীবনের গল্প। মানহানির মামলায় যাতে না পড়তে হয় সেজন্য স্থান আর পাত্র বদলে দেয়া হয়েছে মাত্র- কাল একই আছে! ]
।।এক
সজীবের আজ মনটা খুব ভাল, সপ্তাহে তিনটা দিন বিকেল থেকে তার মন খুব ফুরফুরে থাকে; বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে বের হয়ে পলাশী থেকে একটা রিক্সা নিয়ে ধানমন্ডির উদ্দেশ্য রওনা হল। রিক্সায় উঠেই তার সিগারেট ধরানোর অভ্যাস, গন্তব্যে পৌঁছ...
আমি কলম হাতে নিলেই
দুঃখগুলো কিভাবে যেন টের পেয়ে যায়
গন্ধ শুঁকে শুঁকে ঠিক চলে আসে।
সুখগুলোকে ঠেলেঠুলে
সামনে এসে দাঁড়ায়,
ভেংচি কাটে আমার দিকে তাকিয়ে।
বেশি কৌতূহলী কোন দুঃখ
একপা এগিয়ে এসে
হয়তোবা কুশল জানতে চায়
তাদেরকে নিয়ে আমি...