এই সিরিজের শুরু করেছিলাম একধরনের কোষের গল্প দিয়ে। হেলা কোষ, যার মালিক মারা গিয়েছেন বহুদিন আগে। কিন্তু প্রজন্মান্তরে গবেষণাগার থেকে গবেষণাগারে এই কোষ বেঁচে আছে এবং এটা পৃথিবীর গবেষণাগারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্তন্যপায়ী কোষ।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অভূতপূর্ব গবেষণার ফলাফল হিসেবে মানুষের দ্বারা সংশ্লেষিত সম্পূর্ণ কৃত্রিম ডিএনএ বা কৌলি দিয়ে ই. কলাই ব্যাকটেরিয়াকে প্রাণ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই ব্যাকটেরিয়াকে আপনি প্রকৃতিতে খুঁজে পাবেন না। কথা হলো এই কৃত্রিমতাকে এখানে নতুন প্রাণ সৃষ্টির উপায় বলবো কিনা।
কৃত্রিম মানুষ কি তৈরি করা সম্ভব? ব্যাপারটা আমার-আপনার মতো অনেককে ভাবাতে বাধ্য। বিজ্ঞানীদেরও ভাবিয়েছে। সেই ভাবনা, প্রশ্ন, কৌতুহল থেকে বেশ কিছু গবেষণায় অগ্রগতি ঘটেছে। মানুষকে ক্লোন করা, বা নতুন করে শুধুমাত্র একটি কোষ থেকে তৈরি করার সম্ভাবনা জাগিয়েছে নিধিকোষ গবেষণা। সেসব নিয়েই আজকের আলোচনা।
দ্বিতীয় পর্বে বলেছিলাম -
প্রতিটি জীব হল উচ্চমানের রাসায়নিক সিস্টেম যা নিজে নিজে অনুরূপ তৈরি করতে পারে বা 'স্বনবায়নক্ষম' (self renewable) এবং একটি দেহে (বা কোষে) নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে বা 'স্বয়ম্ভর' (self sustainable)।