দুপুর বেলা গরুর গোস্তো দিয়ে ভরপেট খেয়ে একটা ভাত ঘুম দিয়েছিলাম। দিনে দুপুরে মশার অত্যাচারে ঘুম ভেঙ্গে গেল। ডেঙ্গু মশা নিয়ে ক'দিন চিল্লাপাল্লা করেই সেই আন্দুলন থেমে গেছে বলে একটু মেজাজ খারাপ হচ্ছিল। রাগ কমাতে রওনা দিলাম বইমেলার পথে। একটু আয়েশ করে যাওয়ার আশায় সিএঞ্জি দাম দর করতে যেয়ে আরেক দফা মেজাজ খারাপ। শেষমেষ ভাঙ্গা হাত নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে বিহঙ্গতে উঠলাম। শাহবাগে নেমে ভাবলাম টিএসসি পর্যন্ত এই দীঈঈর্ঘ পথ হেঁটে যাওয়া ঠিক হবে না। বহু কাকুতি মিনতি করার পর এক ব্যাক্তি আমাকে তার রিক্সায় ওঠার অনুমতি দিলেন। বার দশেক প্যাডেল চাপার জন্য তাকে দশটি টাকা গুনে গুনে দিতে হলো।
বেলা তিনটায় 'লাঞ্চো' সেরে অফিসে বসে একটু ঝিমাচ্ছিলাম। তারিক আজিজ এসে প্রস্তাব দিল চলেন বইমেলায় যাই। তার কুপ্ররোচনায় অফিস ফাঁকি দিয়ে বইমেলায় চলে গেলাম। ২০১৪'র মেলায় আজকেই প্রথম যাওয়া। সেই আনন্দে দু'শ টাকা দিয়ে একটি সিএঞ্জি চালিত অটোরিক্সা ভাড়া করে ফেললাম। এবারের মেলা দুই অংশে বিভক্ত। শিশুতোষ বইয়ের প্রকাশনী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল বাংলা একাডেমির ভেতরে আর বাকিরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। একাডেমি চত্তরে আজকে যাইনি। উদ্যান বেশ ফাঁকা ফাঁকা, প্রশস্ত। হারেরেরে রেরে করে "গ্রন্থ মেলা গ্রন্থ মেলা অমর একুশে গ্রন্থ মেলা" টাইপের থিম সং এর উৎপাত নাই এবার।