[ধারাবাহিক উপন্যাস]
আকাশলীনা নিধি, নজরুল ইসলাম দেলগীর
১.
’আছে মুরগী, দেশি মুরগী, মুরগী নিবেন মুরগীইইইই’ বলে রাস্তায় ফেরিওয়ালা চেঁচাচ্ছে। সেই শব্দে জয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। মুরগীওয়ালা রাস্তা দিয়ে এখনো ন্যাকা স্বরে ’আছে মুরগী, মুরগী নিবেন মুরগীইইইই’ বলে চেঁচাচ্ছে। জয়া বিরক্ত হয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে আবার ঘুমুতে নেয় আর তক্ষুণি তার মনে পড়ে যায়, ইশকুল!
সীমান্তরেখা-১
সীমান্তরেখা-২
তৃতীয় অধ্যয়
সবেদ আলির মনে বেশ ফুর্তি ফুর্তি ভাব। সেদিনের মেঘলায় পাঁচু মাঝি দুপুরে ঘুমের আলস্যে পরাজিত হয়ে বিছানায় এলিয়ে পড়লেও পরদিন রেহায় দেয়নি ব্লাক মার্কেটরা। শুধু ব্ল্যাক মার্কেটই বা কেন, মেঘের অবগুণ্ঠন সরানো সূর্যের সোনাঝরা রোদে ঝিলিক দিয়ে উঠেছিল সবেদ আলি-হাবুডাগাদের গোত্রীয় মাথামুটের অন্নাভাবে মলিন মুখগুলোও। সেই ঝিলিকের চিহ্ন এখনো লেগে আছে সবেদ আলির চেহারায়। কিন্তু বউটার মন খারাপ নাকি শরীর খারাপ সেটা ঠাহর করে ওঠা তার জন্য পর্বত-লঙ্ঘনের মতো দুরাতিক্রম্য চ্যালেঞ্জ। একবার ভাবে জিজ্ঞেস করবে, পরক্ষণে একপশলা অভিমান এসে ভর করে মনে। খুব যে নতুন তাও নয়, নয় নয় করে ছয় মাস পার হলো, এই বয়সী দম্পতিরা কত আমোদ-আহ্লাদ করে, কিন্তু হুরমতি সেসবের ধার ধারে না। অথচ মুখরা রমনী সে।
আমার কৈফিয়ৎ: অনেকদিন আগে এই ধারাবাহিক লেখাটি লিখতে শুরু করেছিলাম। পাঠসংখ্যা আর কমেন্টে পাঠকের সাড়া খুব কম পাওয়ায় লেখাটি বন্ধ করে দিই। সম্প্রতি এক পাঠক অনুরোধ করেছেন আবার লেখাটি দিতে, তাই আবার দিতে শুরু করলাম। সঙ্গে আগের পর্বগুলোর লিংক দিলাম। যারা পড়বেন বা পড়বেন না, মন্তব্য করবেন বা করবেন না, তাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ---
এখানে ১ ও ২
[url=http://www.sachalayatan.com/tuli1/25907]এখানে ৩...
৬।
পাশাপাশি ঘুমিয়ে যাই আমরা, আমাদের দুটো হাত পরস্পরকে ধরে থাকে, একে অপরকে সাহস দেয় স্পর্শের বৈদ্যুতি-ভাষায়, আস্তে আস্তে হাত দুখানাও ঘুমিয়ে পড়ে৷ ঘুমের মধ্যেও কিন্তু আমার সেই তীক্ষ্ণ অস্বস্তিটা থেকে যায়, যেন কেউ লক্ষ্য করছে আমাকে৷ যেন আমার হৃদয় মস্তিষ্ক মন বুদ্ধি সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কারা দেখছে, আঁতিপাতি করে কিছু খুঁজছে, যেন কিছু লুকিয়ে রেখেছি আমি কারুর কাছ থেকে৷ ধোঁয়...
৫।
"আকাশের চাবি,আকাশের চাবি ... " কোথায় শুনেছিলাম এই আশ্চর্য কথা দুটো? আকাশের কি চাবি হয়? তালার চাবি হয়, কোনো কোনো বাদ্যযন্ত্রের চাবি হয়, কিন্তু আকাশের চাবি? কে বলেছিলো আকাশের চাবির কথা? আরেনুশ বলেনি জানি, তবে কে বলেছিলো? আমার সেই পাহাড়ী গাঁয়ের সেই আধপাগল বন্ধুটা, নিজনি?
প্রদীপের কাঁপা কাঁপা আলোয় আস্তে আস্তে আগুনপাখীর ডানায় কমলা রঙ বুলাতে বুলাতে বারে বারে কেন ফিরে আসছে ফ...
৩।
মজবুত জাহাজে অনেকের সঙ্গে ভেসে পড়লাম আমি আর আরেনুশও৷ অনেক তদবির তদারকের পর অনুমতি পাওয়া গেছে সাংগ্রিলার৷ না না, যোগের ইস্কুলে নয়, অত যোগ্যতা আমাদের কোথায়? মোটামুটি দিন চলা পরিবারের মেয়ে আমি৷ লেখাপড়া সাধারণ ইস্কুলে, সাংগ্রিলার ভাষা অবশ্য আমরাও শিখেছি ইস্কুলে অল্প সল্প৷ তরতর তরতর করে বলতে পারবো না অবশ্য, কিন্তু কাজ চালাবার মতন বলতে পারি থেমে থেমে ভেবে ভেবে৷ এখন এই দীর...
১।
গুঁড়ো গুঁড়ো বৃষ্টির মধ্যে ডুবে যেতে থাকে বাড়ীঘর মাঠ পাহাড় নদীতীরের পাথর বালি ক্যাকটাস, আমি তুলি ঝেড়ে জল ফেলি আরো আরো আরো৷ ফোঁটা ফোঁটা জল৷ ওয়াশ ছবি বলে একে, এ ছবির অনেক অনেক ডিমান্ড আজকাল৷ ঐ যে যখন ঠিকানাহীনেরা দৌড়ে যেতো বৃষ্টি আসা মাঠের উপর দিয়ে নৌকার দিকে, ছইয়ের উষ্ণ করতলে আশ্রয়ের আশায়, পিছনে বৃষ্টিকে মনে হতো জাপানী ছবি--সেই সময় থেকে এতদূরে আমরা, এখন দূরবীণ কষেও ...