প্রতিবারের মত এবছর ২২ মার্চ সারা বিশ্বে পালিত হবে বিশ্ব পানি দিবস। বিশ্ব পানি দিবসের সূচনা ১৯৯২ সালে। ঐ বছর ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনে-রিওতে জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক অধিবেশনে একটি বিশেষ দিনকে স্বাদু পানি দিবস হিসেবে পালন করার কথা সুপারিশ করা হয়। পরের বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে ১৯৯৩ সালের ২২ শে মার্চকে প্রথম আন্তর্জাতিক পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর স্বাদু পানির উপর এক একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ২২ শে মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ইতিমধ্যে পালিত পানি দিবসগুলিতে স্থান পেয়েছে নারী ও পানি, তৃষ্ণার জন্য পানি, পানির প্রতুলতা, ভূগর্ভস্থ পানি, ভাটির অধিবাসীর জীবন, একুশ শতকের পানি, পানি ও স্বাস্থ্য, উন্নয়নের জন্য পানি, ভবিষ্যতের জন্য পানি, জীবনের জন্য পানি, পানি ও সংস্কৃতি, পানির অপ্রতুলতা, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, আন্ত-সীমান্ত পানি, পানির মান, শহরের জন্য পানি, পানি ও খাদ্যের নিশ্চয়তা, ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মধ্যে ‘পানি ও জীবন’ শিরোনামে একটি পানি দশক (১৯৯৫-২০০৫) পালিত হয়েছে এবং ২০১৩ সাল ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ ওয়াটার কোঅপারেশন’ বা পানি নিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বছর হিসেবে পালিত হয়েছে সারা বিশ্ব জুড়ে। পানি ও শক্তির একে অপরের উপর নির্ভরশীলতার (পানি-শক্তি যোগসূত্র) উপর গুরুত্ব আরোপ করে এবারের (২০১৪) বিশ্ব পানি দিবসের স্লোগান “ পানি ও শক্তি”। এই প্রবন্ধে বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পানি ও শক্তির মধ্যকার নির্ভরশীলতাকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস থাকবে।