নীলিমা,
অনেক দিন পর আজ আবার তোমায় চিঠি লখতে ইচ্ছে হলো।
আজ একটি বিশেষ দিন। গুছিয়ে তোমাকে চিঠি লেখা কেমন জানি কঠিন হয়ে ঠেকছে।
প্রথম প্রথম তোমায় কিছু লিখতে গেলে সব কিছু কেমন এলোমেলো হয়ে যেত।
খেই হারিয়ে ফেলতাম আমি। অনুভূতির ব্যাকরণগুলো কেমন বিব্রত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকত।
সত্যি বলতে কি - আজো আমি অবিকল আগের মতই। তোমার ভাষায় - 'একদম ছেলেমানুষ তুমি' !
[justify]আসলে সব দোষ আয়নামতির। তিনি কি মনে করে জাগে সকাল, হাঁকেনা হরকরা, আসেনা চিঠি! লিখলেন আর পুরোনো অনেক কথাগুলো মনে করিয়ে দিলেন। অনেক খেঁটেখুটে তিনি লিখেছেন, পড়লেই বোঝা যায়। খাটুনি কি আমরাও কম খেটেছি সেই স্কুলজীবন থেকে!
ও আমার ময়নাপাখি,
বলি তুই গেলি কই! ঠাট্টা মশকরা না, আসলেই সত্যি করে বল তুই থাকিস কই। আমি আমার আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম তোর ব্যাপারে, সবাই একলগে বলল তারা তোকে দেখেনি। বন্ধু বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, তাদেরকেও জিজ্ঞেস করলে তারা বলে যে তোর সাথে এতোদিন ধরে দেখা নাই যে, তুই এই দুনিয়াতে আছিস কিনা সেই নিয়েই তাদের মাঝে মধ্যে সন্দেহ হয়। আমি পিজা হাট, বাস্কিন র ...
মা গো,
তুমি কি খুব অবাক হচ্ছ? তোমার বুড়ো খোকা তার মৃত মায়ের কাছে চিঠি লিখছে -- ছেলেমানুষি নয় তো কি?
কেন জানি হঠাৎ তোমার সাথে গল্প করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
কিসের গল্প শুনবে মা? ডিএস ইতে শেয়ার কিনে এবার ভালো একটা প্রফিট পেয়েছি মা, আগেরবারের মত মেল্টডাউন হয়নি। ভালো করেছি না, কি বল?
আচ্ছা বাদ দাও। তুমি মনে হয় আগ্রহ নিয়ে শুনছ না। অন্য কি গল্প শুনবে বল। তোমার নাতনির কেচ্ছা শুনবে?
মৃদুলাটা খুব ...মা গো,
তুমি কি খুব অবাক হচ্ছ? তোমার বুড়ো খোকা তার মৃত মায়ের কাছে চিঠি লিখছে -- ছেলেমানুষি নয় তো কি?
কেন জানি হঠাৎ তোমার সাথে গল্প করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
মাগো, তোমার মনে আছে যেবার আমি দেশ ছেড়ে দেশান্তরী হ’লাম? ডিসেম্বরের তিরিশ তারিখ সন্ধ্যায় তোমার পা ছুঁয়ে বিদায় নিয়ে এয়ারপোর্টে এসে জানলাম কুয়াশার জন্য দিল্লি থেকে প্নেন আসেনি । বাড়তি চব্বিশ ঘন্টা পেয়ে গেলাম তোমার সঙ্গে থাকার জন্য । চব্বিশ ঘন্টা, আরো একটা রাত…তোমার পাটি বিছানো বিছানা,…তোমার আর আমার ঘরে (অন্য বাড়ীর বাসিন্দা হওয়ার আগ পর্যন্ত তোমার আর আমার একটাই ঘর ছিল) দু’টো জানালা ...
সুপ্রিয় সচলায়তন,
জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিও।এতো দেরি দেখে অবাক হচ্ছো?জানোই তো,কখনই না পাওয়ার চাইতে দেরিতে পাওয়াও ভালো।
আসলে,সারাদিন-ই ভাবছিলাম তোমায় লিখবো।কিন্তু,কি লিখবো তা ভাবতে ভাবতে আর লিখাই হলো না!যাই হোক,এখন মনে হলো কে কি ভাববে তা ভেবে লাভ নেই।ইচ্ছে যখন হয়েইছে,লিখে ফেলাই ভালো।তাই,এই অসময়ে তোমায় লিখতে বসা!
জানো,প্রথম তোমার কথা শুনি আমার ভাইয়ার কাছে।ও মাঝেমাঝেই লিখতো,এখনো লি...
মাসদুয়েক আগে একটা চিঠি পাই। খুবই অনির্দিষ্ট ধরনের। কোনো কিছুই স্পষ্ট নয় তাতে। মনে হচ্ছিল, পত্রলেখকের কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করছিল, তাই লেখা। কাকে লেখা যায়, সেটা বড় কথা না। আমার লিখতে ইচ্ছে হলো, তাই লিখলাম। চিঠিটা কোনো বইয়ের ভাঁজে আসেনি। কিংবা কারো হাত ঘুরে। ডাকহরকরাও এসে পৌঁছে দিয়ে যায়নি বাসার ঘণ্টি নেড়ে। পত্রলেখক চিঠিটি নিয়ে ঘুরছিলেন। একদিন দেখা, তখন দিয়ে দিলো সে।
সেই চিঠি প...
মিঠু ভাই,
এ নিছকই এক সাধারণ চিঠি। আমি কি লিখতে যাচ্ছি এই চিঠিতে এখনও জানিনা। তবে সবার আগে যে কাজটি করলাম, তা হল, আপনার নামের সামনে থেকে প্রিয় শব্দটা তুলে দিলাম। অজানা অচেনা প্রফেসরকে মেইল করতে গেলেও ডিয়ার লিখেই শুরু করি, বহুল ব্যবহারে, প্রিয় শব্দটি আমার কাছে মূল্য হারিয়েছে। তবে, প্রিয়তম শব্দটি এখনও মূল্য হারায় নি। এই শব্দটি ব্যবহার করে এখন কাউকে প্রেমপত্র লেখা হয়নি। ভাবছি, এই কাজ...
প্রিয় হাসিখুশি,
আজ ছুটি। কলেজ নেই, কিন্তু প্রচুর কাজ ছিল। কিছুই করতে পারলাম না। ছ’টা বড় লেখা লিখতে হবে বিভিন্ন কাগজের জন্য। কিছুতেই লেখায় মন বসছে না। স্বাতী এসে ফিরে গেছে বলে মন খারাপ আর তাই লিখতে পারছি না, এমনটা নয়। মন খারাপ হয়ে আছে এমনিতেই। কেন খারাপ হচ্ছে জানলে তো মন ভালো করার জন্য একটা ব্যবস্থা নেওয়া যায়। যে অসুখ তুমি বুঝতেই পারলে না, তার চিকিৎসা করবে কি করে? কিন্তু এমনটা মাঝে...
[গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পতিসর, আত্রাই, নওগাঁয় আবিস্কৃত হয়েছে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছয় পাতার একটি দীর্ঘ চিঠি। ১৩০৭ সালের ২৮ ভাদ্র তারিখের এই চিঠিটি কবি কাকে লিখেছিলেন, তা জানা যায়নি। কবির এই অপ্রকাশিত চিঠিটি তাঁর পাচক পতিসরের কবিজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এতে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্মের কথা। নওগাঁর ছোটকাগজ 'অঞ্জলি লহ মোর' এর জানুয়ারি-জুন সংখ্যার সৌজন্যে চ...