১.
ভবিষ্যত দেখার ইতিহাস
.................................
‘‘মানুষ সবসময় যা বলছে, তা নিজেরাই সব বলছে- তা কিন্তু নয়।
সময় তার কথাগুলো অনেক সময় আমাদেরকে দিয়ে বলিয়ে নেয়।
আমাদের অজান্তেই। “
ইতিহাসবীদ সালাহউদ্দীন আহমেদ বলে হাসলেন। কথা শেষ।
উঠে দাঁড়ালাম। তখনও জানা নেই, এই শেষ দেখা। আর দেখা হবে না।
তিনি বিদায় দিতে দরজা পর্যন্ত আসলেন।
সকালে অফিস এসে বাংলাদেশের একটা শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলতেই চোখে পড়ল খবরটা। 'হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা করায় আ.লীগ নেতার ৫৭ ধারার মামলা, গ্রেফতার ২' শিরোনামে খবরটার সারমর্মঃ মোহন কুমার মন্ডল নামক এক ভদ্রলোককে ৫৭ ধারার আওতায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গ্রেফতার করা হয়েছে, 'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার' অভিযোগে। বাদী হিসেবে মামলা করেছিলেন শ্যামনগর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর কবীর। মন্ড
গত কয়েক বছর ধরে দেশের কোন নিউজ পোর্টাল খুললে প্রায় এক ধরনের খবর চোখে পড়ে। খবরটা হয় কিছুটা এরকমঃ অমুক জায়গার তমুক সংখ্যক বিএনপি/ছাত্রদল/জামাত/শিবির নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ/ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছেন। এমন অগনিত খবর চোখে পড়েছে, আমি তার কয়েকটা স্যাম্পল হিসেবে এখানে শেয়ার করলামঃ
একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবী যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই আমাদের দেশে শুরু হয়েছে উল্টোযাত্রা। কোথায় ছেলেমেয়েরা জ্ঞানের আলোর মুখ দেখবে, সেখানে তাদের হাতছানি দিয়ে পিছু ডাকছে আদিম অন্ধকার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবকালেই ধর্ম একটা ফ্যাক্টর। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কবে ঘটবে তাও কেউ বলতে পারে না। অ্যালেক্স রাদারফোর্ডেও লেখা ‘মুঘল’ সিরিজগুলো পড়ে বোঝা যায়, সেই পঞ্চদশ শতাব্দীতে মানুষ ধর্মটাকে যত সহজভ
ধর্মীয় মৌলবাদি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম প্রায় এক বছর পরে আবারো তাদের কর্মকান্ড জোরেশোরে শুরু করেছে। বিগত দুই সপ্তাহান্তে তারা বিভিন্ন সমাবেশে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার করছে। গতকাল তারা এমনকি নাস্তিকদের কতলের ফতোয়া দিয়েছে। হঠাৎ করে হেফাজতের এরকম গর্ত থেকে বের হয়ে আসার কারণ কী? এখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোন নিশ্চয়তা বা সমঝোতার প্রসঙ্গ আছে কি? বা কিছুদিন আগে দুই কিশোর ব্লগারকে জেলে পোরার সাথেই বা এসবের কোন সংযোগ আছে?
বহুল আলোচিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রায় শেষ। গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) ২৯০ টি সংসদীয় আসনের নব-নির্বাচিত সদস্যের বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ২৮৪ জন নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্য শপথ নিয়েছেন এর একদিন পরেই [১]। বাকিদের শপথ নেয়াও বর্তমানে সারা।
([i]এটি যতটি না লেখা তার চেয়ে বেশি হল এলোমেলো করে জট পাকানো চিন্তার সুতা। সে হিসেবে এটির জায়গা হওয়া উচিৎ ফেসবুক নোটে। সচলায়তন যেহেতু লেখকদের মঞ্চ এখানে কিছুটা কুণ্ঠাভরে দিচ্ছি। আমার মূল প্রশ্ন হল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে কি আসলেই "আওয়ামী বিদ্বেষ" বলে অনন্য কোন অনুভূতি আছে?
২০০৭ এর ঘটনা। বিকেলে ক্লাস শেষ করে মধুর ক্যান্টিনের সামনে আসতেই মাসুমের সাথে দেখা। মাসুম আমার রুমমেট, মার্কেটিং-এ পড়ে। ও খুব উত্তেজিত, হাতে ইয়া মোটা এক লাঠি। আমাকে দেখেই বললো, কই ছিলি তুই?
ক্লাসে। কিন্তু তোর এ অবস্থা কেন?
তুইতো দেখি কোন খবরই রাখস না! শাহবাগে এক ছাত্র অ্যক্সিডেন্ট করছে। তাই গেলাম, গাড়ি টাড়ি ভাইঙ্গা আসলাম।
দেশের বর্তমান সরকারের বয়স প্রায় আড়াই বছর হতে চললো। এর মধ্যেই মানুষ হতাশ। দিনবদলের যে স্বপ্নে বিভোর হয়ে তারা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো সে স্বপ্ন আস্তে আস্তে ফিকে হতে শুরু করেছে। বাস্তবতা হলো দেশ গত আড়াই বছর আগে যেখানে ছিলো সেখানেই স্থবির হয়ে আছে। দুর্নীতি, চাদাবাজি, সন্ত্রাস, সরকারি দলের পাতিনেতাদের অনায্য দাপট, মন্ত্রীদের আখের গোছানো, দখলবাজি, টেন্ডরবাজি, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সহ নানা ধরন
আজকের পত্রিকার অনেক খবরের মাঝে রাষ্ট্রপতি'র ক্ষমা বিষয়ক একটি খবর আছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত, বাংলাদেশের যে কোন নাগরিককে তিনি ক্ষমা করতে পারেন; বাংলাদেশের জনগণ সেই অধিকার তাকে দিয়েছে। সেই অধিকার বলে তিনি এবার ক্ষমা করেছেন চিহ্ণিত এক খুনিকে।