যথারীতি জানুয়ারীর শেষ বুধবারে শুরু হয়ে গেল কলিকাতা পুস্তকমেলা| কততম বর্ষ যেন?
মানুষ খোলা বাজারে চাল কেনার ডেসপারেশন নিয়ে বইমেলায় হুমায়ুন আহমেদের বই কিনছিল।উনি বসে। চারপাশে দাঁড়িয়ে হলুদ হিমুদল।
হুমায়ুন আহমেদ কতক্ষণ থাকবেন।ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হিমুরা মনে মনে বদদোয়া দেয় প্রকাশককে।উনি চেষ্টা করেন লেখককে বেশীক্ষণ রাখতে।
এক প্রাক তরুণী টিভি সাংবাদিক মাইক্রোফোন বাড়িয়ে দেয়, স্যার একটা বাইট।
স্যার ঘাবড়ে যান।ভ্যাম্পায়ার নাকি কাম ...
“এবারের বর্ষার বইমেলায় সচলায়তনের লেখকদের মধ্য থেকে একমাত্র গৌতমেরই বই বেরিয়েছে”- নজরুল ভাইয়ের মুখে এমনতর কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই ভড়কে যাই। কারণ এ সময়ে আমার কোনো বই বের হওয়ার কথা না। একটা ছোটখাট ও অগুরুত্বপূর্ণ বই বেরিয়েছে গত ফেব্রুয়ারির বইমেলায়, এমনই আরেকটা হয়তো সামনে বেরুবে- যদি প্রকাশক দয়া করেন। আমি তাই কিছুটা অবাক হয়ে ও প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে সেদিন নজরুল ভাইয়ের মুখে তাকাল ...
কদিন অফিস ছুটির পর বই মেলায় শুদ্ধস্বর স্টলে বসেছি, আমার একটা ছোটখাট বই বের হয়েছে এই সুবাদে। বসার আরো একটা কারণ অবশ্য আছে, মেলায় আসা সচল বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেই সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আর যখন কেউ থাকেনা তখন ভাললাগা সচলদের বইগুলি পড়া যায় একদম ফ্রীতে( পুরাটাই ফ্রি !!! হি হি হি )।
স্টলে ক্রেতাদের বেশ ভীড়, সমানে বিক্রি হচ্ছে। আমি বই পড়ার ফাঁকে মাঝে মাঝে মাথা ঊচিয়ে দেখি, কে কি কিনছে। বিভ...
অনেকখানি ঢং করে এই লেখাটা শুরু করতে যাচ্ছিলাম। তারপর হাসি পেল। যাকে নিয়ে লিখছি তাঁকে সচলরা আমার চাইতে ভাল চেনেন। হয়তো তাঁর সঙ্গে আমার অনেকটা পথ একসঙ্গে রিক্সায় টুকরো-টাকরা কথা বলতে বলতে আসা হয় প্রায়শই। কিন্তু সেটাতে তাঁর সবটা পরিচয় মেলেনা। তার সবটা পরিচয় মেলে তাঁর লেখায়। সেইখানে একজন মানুষের ভেতরে একজন ঈশ্বরকে দেখা যায়। সে ঈশ্বর কবিতার আর গল্পের। সে ঈশ্বর ভাষার।
সত্যি [url=http://ww...
প্রায় আড়াই সপ্তাহ হলো, ঢাকায়। এর মাঝে প্রথম কয়েকটি দিন বাদে প্রায় প্রতি সন্ধ্যাতেই বইমেলাতে গিয়েছি। নিজের বইদুটোর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী। সচল ও অনেক পরিচিতজনের বই প্রতিদিনই বেরুচ্ছে। বেশ সরগরম আর উৎসব উৎসব ভাব। অনেকের সাথে পরিচয় হলো। ভালো লাগছে খুব। মনে হয় নিজের কক্ষপথেই চলছি আবার।
সচলদের সাথে এভাবে পরিচয় হওয়াটা আমার জন্যে ভীষন সৌভাগ্যের। জলিল ভাই যে খুব সজ...
[justify]ভাবতাম আমার কাছে আহমদ ছফার বেশিরভাগ বই আছে । প্রায় মাসখানেক আগে বাংলাদেশ থেকে আট খন্ডের ছফা রচনাবলি আমার কাছে এসে পৌঁছাল। উল্টিয়ে দেখি অনেক কিছুই পড়া নেই। ‘সেইসব লেখা’ র মত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধসংকলন আমি পড়িনি। অথচ ছফাগিরি লেখা শুরু করেছি। একটা প্রবন্ধের শিরোনাম ভাল লাগল। ‘আমার নাম আহমদ ছফা, পিতার নাম মরহুম হেদায়েত আলী’।
একদিন এক মাস্টার বুড়ো
দুপুরবেলা ইস্কুলে
মনের ভে...
ঢাকাবাসী হিসেবে ঢাকায় পা রাখি ২০০১ সালে, আগস্ট মাসের ১৬ তারিখে। দিনটি মনে রাখার অনেকগুলো কারণ আছে তবে সবচেয়ে বড় কারণটি হচ্ছে কলেজের নবীনবরণ। সুতরাং ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস ছাড়া বইমেলা তেমনভাবে ঘুরে দেখা হয় নি আমার। যতদূর মনে পড়ে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার জমকালো আয়োজনের পাশে শেরেবাংলা নগরে ঢাকা বইমেলার আয়োজন ছিল; কিন্তু বইমেলা দেখতে গিয়ে ধূলোর উড়াউড়ি...
পুত্রকে নিয়ে বইমেলা' গিয়ে ভীষণ হতাশ বাকী দা'
বিদাতের তোড়ে, যায় বুঝি উড়ে এবার ঈমান আকিদা
রেগেমেগে তাই ছেলেকে শাসায়- 'এই ছিল তোর ভেতরে?
তাগুতি মেলায় আসার জন্য বুদ্ধি দিয়েছে কে তোরে?'
হতবাক ছেলে, বুকলিস্ট ফেলে মেলা থেকে আসে বেরিয়ে
দেখে নেয় তা-ও বেরুতে বেরুতে পিতার দৃষ্টি এড়িয়ে
'ব্যর্থ' পিতার হা-হুতাশ চলে ছেলের এমন পতনে
'আমলে নাজাত' কিনে শেষে বলে- 'পড়ে রেখে দিও যতনে!'
দিন কয় পর কী ভেব...
যে কোন কারণে হোক, যাঁরা এবার মেলায় যান নি বা যেতে পারেন নি তাঁদের জন্য উৎসর্গিত এই পোস্ট।
এবারের বইমেলার সরকারি নাম ছিলো ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০০৯’। বাঙালির ঐতিহ্যমাখা বাংলা একাডেমি চত্বরে আয়োজিত এই বইমেলা হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথই পেরিয়ে এলো। পূর্বনাম ‘পুঁথিঘর’ পরবর্তীতে ‘মুক্তধারা’ প্রকাশনীর প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা স্বত্বাধিকারী ...