আমার ঠাকুদা একাত্তরে শহীদ হয়েছিলেন। সাদা শাড়ির ঠাকুমার বাকি জীবনটা কেটেছে গাছের সাথে। প্রতিটা গাছ ছিল তাঁর ভালোবাসা!
ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন চিত্র, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, খবরসহ সকল অনুষ্ঠানে বাংলা ব্যবহারের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত। এক শ্রেণির উপস্থাপক অযথাই বাংলা-ইংরেজি চটকিয়ে এমন এক অদ্ভূতুড়ে ভাষার জন্ম দেন যা রীতিমত কানের জন্য ক্ষতিকর। বাংলাভাষা থেকে ‘র’ উঠে যাবার অবস্থা হয়েছে ‘ড়’ এর তোড়জোরে। বিশেষ করুণ হাল হয়েছে ‘ফ’ এবং ‘ছ’ এর। আর শব্দের ও বাক্যের মধ্যে বিরতি, টান বা স্বরের ওঠানামা অর্থতত্ত্বের সকল বিধিব
এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বেশ হা-হুতাশ চলছে চারদিকে। এরমধ্যে এবার রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির হিসেবও ঢুকে পড়েছে। অভিভাবক হতাশ, শিক্ষক হতাশ, শিক্ষার্থী বিমূঢ়। কিন্তু এটাকে ফলাফল বিপর্যয় কেন বলবো তা এখনও আমি বুঝে উঠতে পারিনি। অর্ধ লক্ষাধিক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সর্বোচ্চ মেধাবীদের নিয়ে আমরা কী করবো যখন তার এক দশমাংশও প্রত্যাশামত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে না ?
কিছুদিন আগে এক বিদেশি বন্ধুকে আমাদের দেশের বিয়ে নিয়ে বয়ান দিচ্ছিলাম, ‘আমাদের দেশে বিয়ে হয় দুরকম, অ্যাফেয়ার ম্যারেজ আর এরেঞ্জড ম্যারেজ'।সে বলল 'দাড়াও দাড়াও, এরেঞ্জড ম্যারেজ এর কথা শুনেছি, ইন্ডিয়া’তেও বলে এরকম হয়, কিন্তু অ্যাফেয়ার ম্যারেজ কি জিনিস?' বললাম, ওই যে যেটা তোমরা কর।সে বলল, আমরা মোটেও অ্যাফেয়ার করে বিয়ে করিনা!
-তো কি কর?
–গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করি।
-ওই তো একই কথা…
[justify]বাংলায় বোধ হয় আমাদের আর পোষাচ্ছে না। চলনে বলনে কাজেকর্মে কোনোখানেই না। হিন্দিপ্রেম তো অনেক আগে থেকেই ছিলো আমাদের। আজকাল ডোরেমন শিশুরা বাংলার চেয়ে হিন্দিতে পারদর্শী হয়ে উঠছে। কথার ফাঁকে দুয়েকটা হিন্দি বুলি জুড়ে না দিলে বড়রাও ঠিক খুউল হতে পারছেন না। বাংলায় তাই আর পোষাচ্ছে না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষার বাংলা (আবশ্যিক) প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন--
১০। বাংলায় অনুবাদ কর ঃ-
[justify]শব্দের সুতোয় গাথা এক একটি বাক্য, আমরা তাকে বলি ভাষা। একটা বাক্য মানে কি কেবলই কিছু শব্দের সমাহার?—না। কারণ, বাক্য তৈরি হয় শব্দ সাজিয়ে। শব্দগুলো এলোপাতাড়িভাবে বসে না; বসলে অর্থ বোঝা যায় না, আর অর্থ না-বুঝলে বাক্যও হয় না। অর্থাৎ একটি বাক্য হলো কিছু শব্দের সারি এবং সেই সারিতে কার পাশে কে বসবে তার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে শব্দগুলোকে পরপর বসতে হবে। ১
ডিসক্লেইমার : লেখাটাতে কাউন্টার ন্যারেটিভ কিছু গুঁজে দেওয়া হয়নি। ভাষা বা ব্যাকরণের সংজ্ঞা রি-কন্সট্রাকশনের প্রচেষ্টাও এতে যৌক্তিকভাবেই অনুপস্থিত। তাই, খুব খেয়াল কৈরা!
সংস্কৃত না পালি—ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ভাষা কোনটি তা নিয়ে সুদীর্ঘকাল ধরেই বিতর্ক চলেছে। তবে সে বিতর্ককে পাশ কাটিয়েও বলা যায়, সংস্কৃত গ্রিকের চেয়ে বেশি নিখুঁত, ল্যাটিনের চেয়ে বেশি গভীর, এবং এ দুটো ভাষার তুলনায় অনেক বেশি নিপুণতার সাথে সংস্কারকৃত, যদিও তাদের উভয়ের সাথেই সংস্কৃতের যথেষ্ট পরিমাণে সাদৃশ্য রয়েছে। ক্রিয়াপদের মূল এবং ব্যাকরণগত গঠনপ্রণালীর দিক থেকে এ তিনটি ভাষায় এত বেশি মিল যে, ভাষাগুলোর উৎপত্তি যে একই উৎসমূল থেকে হয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই। সেই অজ্ঞাত মূল সূত্রটি অবশ্য চিরতরে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।