অনেক অনেক যুগ পরে একটা ব্লগ লিখতে গিয়ে দেখি A,S ,D, W, Q, E, R, স্পেসবার, লেফট শিফট ইত্যাদি , মানে গেম খেলতে যেইসব কি লাগে, সেগুলো বাদে বাকি কিবোর্ড বিকল হয়ে বসে আছে। তাই বলে কি ব্লগরব্লগর বন্ধ থাকবে? কখনোই না। তাই এসে গেলো গুগল ভয়েস টাইপিং এ লেখা এই টাটকা তাজা ভ্রমন্থণ!
_________________
১
একটি গল্প বলি। উনিশ বছরের তৌহিদের গল্প। পড়াশোনায় খারাপ ছিলো না কোনো কালেই তবে মাধ্যমিকের পরে তার বাবার কাজের বদলিতে অন্য শহরে পাড়ি জমালে তাদের পরিবার সে একা হয়ে পড়ে, আগের বন্ধুবান্ধবদের হারায়, খানিকটা বিষণ্নতায় ভুগে, পড়াশোনায় তেমন মন বসে না। অথচ ছোটবেলা থেকে সে স্বপ্ন দেখতো সে “সুপারহিরোদের” মতো কিছুটা করে একদিন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে।
১.
গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটলো, যাতে প্রাণ হারালো আইনপ্রয়োগকারী বাহিনির দুইজন সদস্যসহ ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক, আহত হলেন ১৩ জন, সেই ঘটনাটি বিস্ময়কর কিন্তু মূলত অকল্পনীয় কিছু নয়! তেমনি অবাক হওয়ার কিছু নেই ঈদের দিনে শোলাকিয়ায় পুলিশসহ চারজনের মৃত্যুতে।
আইসিসের মুখপাত্র ম্যাগাজিন দাবিকের নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। যথারীতি তারা সেখানে বাংলাদেশে তাদের খেলাফাতের কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। এর সাথে তারা একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে আবু জান্দাল আল বাঙালি নামে এক বাংলাদেশি জিহাদির ওপরে। একদম শেষে তারা বাংলার খেলাফতের সৈনিকদের আমির শায়েখ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফএর একটি বড় সাক্ষাতকার ছাপিয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে নিয়মিত বড় কভারেজ আইসিসের বাংলাদেশ বিষয়ে আগ্
সচলের প্রথম দিকে ভোখেনব্লাট নামে একটা সিরিজ শুরু করেছিলাম। কাজের চাপে ও নানাবিধ অজুহাতপ্রসূত কারণে সেটা কন্টিনিউ করা হয়নি। টাগেসব্লাট নামে নতুন এই সিরিজটা শুরু করলাম। এটা ফেইসবুক স্টাটাসের বিকল্প হিসেবে চালু রাখা যায় কিনা সেটার একটা এক্সপেরিমেন্ট। ফেইসবুক স্টাটাসে লাইক ছাড়া কিছু পাবার নেই। আমার স্টাটাসগুলোতে এমন কোন গুঢ় আলাপ হয় না যেটা মিস করার মতো। আর পাঠকেরা পরে সেগুলো পড়েও না বা পড়ার জন্য খুঁজেও পায় না। এর থেকে সেগুলো এখানে লিখে রাখলে পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া যাবে। সচলের লেখা আমার অন্য লেখাগুলোর মতো এই সিরিজটা সিরিয়াস ধরণের হবে না। বাক্যগঠন, চিন্তাভাবনার খুঁত থাকতে পারে। হালকা মেজাজে খুব চিন্তাভাবনা না করে জার্নাল ধরণের লেখা হবে এগুলো।
ইসলামিক স্টেট তাদের ম্যাগাজিন দাবিকের ১৩তম ইস্যুতে আবারো বাংলাদেশে পরিচালিত তাদের অপারেশনগুলোর এক ফিরিস্তি প্রকাশ করেছে। এখানে তারা কয়েকটি ঘটনা এবং সেগুলো তারা কীভাবে কী অস্ত্র ব্যবহার করে ঘটিয়েছে সেটার বিবরণ প্রকাশ করেছে।
আইসিসের মুখপাত্র ম্যাগাজিন দাবিকের ১২তম সংখ্যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। প্রবন্ধটির শিরোনাম The Revival of Jihad in Bengal: With the Spread of the Light of the Khilafah। লেখক আবু আব্দির রাহমান আল বাঙ্গালি। এই আর্টিকেলে আইসিস বাংলাদেশে ঘটা কিছু ঘটনার বিষয়ে তাদের দায়িত্ব পুনরায় স্বীকার করেছে। এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সাইট ইনটেলিজেন্সের সরবরাহকৃত তথ্যগুলোর একটা ভেরিফায়েবল সোর্স পাওয়া গেল। বিডিনিউজ এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট ছেপেছে। ওখানে তারা শিরোনাম দিয়েছে, “ফের দায় স্বীকার ‘আইএস’র, বাংলায় ‘খিলাফতের’ খবর”। বাংলায় খিলাফত সম্পর্কে কিছু আইসিসের ম্যাগাজিনে বলা হয়নি। এ ধরণের তথ্য প্রমাদ দুর করতে এখানে দাবিকের আর্টিকেলটির একটা সারসংক্ষেপ দেয়া হলো।
এ মাসের শুরুর দিকে (আগস্টের ৫ তারিখ) ব্রিটিশ ধর্ম ও সমাজ বিষয়ক মন্ত্রি এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি বারনেস সায়িদা ওয়ার্সি ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করেন ইজরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার বিষয়ে তার দলের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে। তখন এ নিয়ে বিশ্বের ও বিশেষ করে বাংলাদেশের ‘ধর্মপ্রাণ’ মুসলমানদের মধ্যে গণমাধ্যমে মাতামাতি ও উচ্ছাস দেখে সচলে প্রথমবারের মত লিখেছিলাম, এই পাকি বংশোদ্ভূত মহিলা আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধ