তেঁতুলিয়া জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর দক্ষিণে বিনোদনকেন্দ্র। এগোলাম সেদিকে।
বাটা সিগন্যাল থেকে নিউমার্কেটের দিকে চলে যাওয়া পথ ধরে খানিকটা এগোলেই সুপরিচিত সুপরিসর একটি বিপণী বিতান। বিপণী বিতানটির ঠিক উল্টোদিকেই একটা অন্ধগলি। গলিটির শেষমাথায় একটি বাড়ি। বাড়িটির নাম ‘কণিকা’- শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মৃতিবিজড়িত বাসগৃহ।
খুব বেশী দূরে আর কই?
ঘর থেকে পা বাড়ালেই মিরপুর দশ নম্বর গোলচত্ত্বর। সেখান থেকে রিকসা নিলাম আমরা। অগ্নি নির্বাপণ সংস্থার কার্যালয় পেছনে ফেলে কিছুদূর এগোলেই মিরপুর বেনারশি পল্লীর ১নং গেট। সেই গেট অতিক্রম করে পৌঁছলাম পিচঢালা পথের শেষমাথায়। সেখানে অবস্থিত পুরোনো পাওয়ার হাউজ।
আজি হতে কত বর্ষ আগে?
সার্ধশতবর্ষ তো অবশ্যই।
১৮৯৮ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। অবিভক্ত ভারতবর্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত 'ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন' নাট্যের একটি অঙ্কের পার্শ্বচরিত্র হিসেবে এসেছিলেন প্রথমবার।
দ্বিতীয়বার ১৯২৬ সালে।
‘নাদ’।
সংস্কৃত ‘নাদ’ শব্দ থেকেই এসেছে নদী শব্দটি ।
‘নাদ’ অর্থাৎ ‘শব্দ’। যে জলপ্রবাহ শব্দ করে, ওরা নাদবতী। নাদবতী মানেই নদী।
মহর্ষি যাস্ক নিজেকে প্রশ্ন করলেন, ‘নদ্য কম্মাৎ?’ অর্থাৎ কেন ওরা নদী?
তিনি নিজেই জবাব দিলেন ‘নদনা ইমা ভবন্তি শব্দবত্যঃ’। অর্থাৎ শব্দ করে বলেই।
বছর চারেক আগে!
চুনারুঘাটের সীমানা থেকে ফিরছিলাম আমরা!
বাহন ছিলো মোটরসাইকেল!
তাই মন চাইলেই থামছিলাম, মন চাইলেই ছুটছিলাম!
এমন করতে করতে চোখ পড়েছিলো সুরমা টি এস্টেটের সুরম্য বাগানে! মনেও বেশ ধরেছিলো বাগানটা!