সন্ধ্যা হলেই হারিকেন জ্বেলে পড়তে যেতাম বিশু স্যারের বাড়ি। হিন্দু পাড়া। ধূপ-ধুনোর গন্ধে মন ভরে যেত। শাঁখের পুঁউ-উ-উ...ধ্বনি চিরতরের জন্য নস্টালজিক এক ছবি এঁকে দিয়েছিল মানসপটে। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা ঘনাত। দিনের শেষ কর্মচাঞ্চল্যের ভেতর দিয়ে নেমে আসত রাতের অন্ধকার। কিছুক্ষণ পর গোল আয়নার মতো পুর্ণ চাঁদ অন্ধকারকে হটিয়ে গড়ত মায়ময় এক জগৎ। স্যারের বাড়ির সামনের দিকটা বুনো জঙ্গলে ঠাঁসা। ভাট-আশশেওড়ার দঙ্গলে আটকে যেত পলায়নরত অন্ধকার। কিন্তু তাতেও কি রেহায় আছে! জঙ্গলে জমে থাকা অন্ধকারকে হটাতে শুরু হত জোনাকির অভিযান। কাজলা দিদি পড়তাম আর বার বার তাকাতাম ওদিকে। সত্যিই থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলছে!