ডিসেম্বরের শুরুতেই হাড় কাঁপনো শীত জেঁকে বসছে। আয়েসি মানুষগুলো দশটার আগে লেপ-কাঁথা ছাড়ে না। কিন্তু নজীর আহমেদ-এর মতো দিন মজুরদের অতবেলা করলে চলে না। সাত সকালে উঠেই মাঠের পথ ধরতে হয় রাতের বাসি পানি-পান্তা খেয়ে। শীত-গ্রীষ্মের সাথে নিত্য যাদের বসবাস, শীত তাদের কাবু করতে পারবে কেন। তাই কার কাছে উপহার পাওয়া ছেঁড়া ট্রাক-স্যুট পরে তিনি বেরিয়ে পড়েন মাঠের উদ্দেশে। কিন্তু মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারলেন না। অতিকায় একটা পাখি পড়ে আছে ক্ষেতে মাঝখানে। নজীর আহমেদ ছুটে গেলেন পাখিটার কাছে। না, মরেনি পাখিটা। জীবন্ত। অসুস্থ্। উড়তে পারছে না। এতবড় পাখি কখনও দেখেননি নজীর। শুধু নজীর কেন, গাঁয়ের কেউ কখনও দেখেছে বলে মনে হয় না। কাজ ফেলে পাখিটাকে নিয়ে বাসায় ফিরলেন নজীর। ডাকলেন ডাক্তার। পশু ডাক্তার নয়। মানুষের ডাক্তার। তাও আবার হাতুড়ে। নাপা-টাপা মিলিয়ে কয়েকটা মানুষের ওষুধ খাইয়ে দিলেন ডাক্তার। দিলেন কয়েকটা ইনজেকশনও। অবাক ব্যাপার তাতেই কিছুটা সুস্থ্ হয়ে উঠল পাখিটা