কেন ওরে ইতালি মনির তুমি আনপড় চিউবাকার মত হট্টগোল করে
বলেছিলে কানট্রি সিষ্টেমকে ফাক কর?
জুলিয়াছ সিজারুদ্দৌলার দেশে এতডি বৎসর গুজরে জীবন
কিছুই কি শিখ নাই ছলাকলা পূর্বরাগ
মেক লাভ, নট ফাকাফাকি?
একেই কি বলে সভ্যতা? উড়ে এসে ফুঁড়ে দিবে পরিযায়ী উটপাখির মত?
কানট্রি সিষ্টেমকে তুমি একদিন সন্ধ্যা বা রাইতে
ডেটে যাইতে ফুসলাইতে
পার না কি?
কৃষ্ণবিবরের কথা শুনলে মনে হয় এরকম বিচিত্র কিছুর বাস্তব অস্তিত্ব থাকা সম্ভবপর নয়। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে এদেরকে এই মহাবিশ্মের প্রায় সবখানেই খুঁজে পাওয়া যায়। আমরা এখনই প্রায় ডজনখানেকের অবস্থান সম্বন্ধে অবগত। আন্দাজ করা হয় এই ছায়াপথে হয়ত প্রায় লক্ষ লক্ষ পরিমানে এদের অস্তিত্ব রয়েছে। আর ছায়াপথের বাইরের আঁধারে লুকিয়ে কোটি কোটি । বিজ্ঞানীদের অনুমান প্রতিটা গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটা অতি-বৃহদাকার কৃষ্ণবিবরের অবস্থান রয়েছে। আমাদের এই আকাশগঙ্গা সহ। এইসব দানবীয় আকারের স্থানকালের বক্রতার উৎপত্তি আর গতিপ্রকৃতি বিজ্ঞানীদের ধাঁধার মধ্যে ফেলে রেখেছে শত বছর ধরে।
তবে এই কথা ত বার বার প্রমাণিত হয়েছে বাস্তবতা আসলে মানুষের কল্পনার চাইতেও বিচিত্র।
ছবিঃ বিশ্বের প্রথম ধারণকৃত কৃষ্ণবিবরের চিত্র। খুলে দিলো মহাজাগতিক এই ঘটনা সম্পর্কে জানার নতুন দুয়ার।
খনাকে নিয়ে বহুদিন থেকে কৌতূহল। সেই ছোটোবেলা থেকে খনার বচন আর খনার বিষয়ে নানারকম কিংবদন্তী শোনার সময় থেকেই। খনার বচন নামে প্রচলিত ছোটো ছোটো দ্বিপদী কবিতা, যা নাকি আবহাওয়া, চাষবাস, শুভযাত্রার গণনা ইত্যাদি নানাধরণের ব্যাপারের সঙ্গে জড়িত, সেই দ্বিপদীগুলো খুব চমৎকার লাগতো।
বেশ বড় খোলা একটা জানালা, উত্তরমুখী। প্রতিরাতে এই জানালা ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে মেয়েটি। বয়স আর কত, এই শ্রাবণেই দশ পুরো হল। কিন্তু রোজকার আগন্তুক নক্ষত্রগুলোকে দেখে দেখে তার মনে হয়- কতযুগ ধরেই না এ নক্ষত্রগুলোকে বুঝি সে চেনে! কি রহস্যময় আর গভীর এদের সাথে তার বহু শতাব্দীর পরিচয় !
মেয়টির নাম ভেরা রুবিন, জন্মেছিলো জুলাই ২৩, ১৯২৮ সালে পেন্সিল্ভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই দূর আকাশের নক্ষত্র-বন্ধুদেরকে আরেকটু কাছে, আরেকটু আপন করে পাবার জন্য একটা টেলিস্কোপ বানিয়ে বসে সে। বাবা একাজে সাহায্য করলেও ছোট্ট রুবিনের মহাকাশের প্রতি আগ্রহের বিষয়টা শুরুতে অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। হাইস্কুল পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক থেকে শুরু করে কলেজের এডমিশন অফিসার, সবাই রুবিনকে বলেছিলো পড়াশোনার জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের বদলে আরেকটু 'ভালো' আর 'প্রচলিত' কোন বিষয় বেছে নিতে। কিন্তু যে মানুষ ততদিনে অসীম মহাশূণ্যের গোপন রত্নভান্ডার আর তার বিপুল ঐশ্বর্যের হাতছানিটুকুকে দেখে ফেলেছে, তাকে কি আর মাটির পৃথিবীর ক্ষুদ্রতা দিয়ে আটকে রাখা সম্ভব?
রুবিনকেও আটকানো যায় নি!
[কারো রুদ্রানুভূতি আহত হলে লেখক দায়ী নন]
গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আবিস্কারের পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সব খানেই নানান হৈ চৈ শুরু হয়েছে। সঙ্গত কারণেই তার একটা ধাক্কা বাংলাদেশেও এসে লেগেছে। পাড়া-মহল্লা থেকে অফিস আদালতে অনেকেই গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ নিয়ে কথা বলেন এবং সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকজন তাদের ইন্টারমিডিয়েটে পড়া আইনস্টাইনের স্পেশাল থিউরি অব রিলেটিভিটি সংক্রান্ত জ্ঞানের কথা দুয়েক লাইনে তুলে ধরেন। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। আমি নিজেও এমন কোন দাবী করি না যে আইনস্টাইন বুড়োর জেনারেল রিলেটিভিটি, স্পেশাল রিলেটিভিটি দুইটাই বুঝি। কিন্তু এই নিয়ে কোন ধরনের আলোচনায় সাধারণত তাচ্ছিল্যের হাসি মুখে ঝুলাই না। "বিবর্তন শুধুই একটা থিওরি" বলার মত "জেনারেল রিলেটিভিটি" বা "স্পেশাল রিলেটিভিটি"ও শুধুই থিওরি - এরকম ভাবার মত লোকজন প্রচুর। আশ্চর্যের ব্যাপার তারা মোটামুটি সবাই সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের। তাদের ধারণা, খুব দ্রুত কোন কিছু দৌড়াতে শুরু করলে সময় তার জন্য মন্থর হয়ে যাবে এইটা একটা গাঁজাখুরি কথা। দুয়েকটা ইকুয়েশন আছে ঠিকি কিন্তু এর কোন বাস্তব প্রয়োগ নাই। দুঃখিত স্যার, আপনার ধারণা ভুল। এর বাস্তব প্রয়োগ আছে! সেটা নিয়েই আজকের জ্ঞানের আসর।
(আমি পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র হলেও এই লেখায় ইচ্ছা করেই পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা এবং সংজ্ঞাগুলো খুব শক্তভাবে ব্যবহার করি নি... কারণ আমার লেখার উদ্দেশ্য মানুষকে বিজ্ঞানটা বুঝানো না, বিজ্ঞানের মানবিক দিকটা তুলে ধরা! এজন্য বিজ্ঞানমনস্ক পাঠকের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!)
কার্ল সেগান কসমস সিরিজের যাত্রা শুরুতেই একটা ধাক্কা খেয়েছিলেন। সাইনটিস্টদের আড্ডায় ঠাট্টা- মশকরার পাত্র হয়ে গিয়েছিলেন প্রায়। অ্যাস্ট্রো-ফিজিক্স বা কসমোলজির সাধারন ব্যাপারগুলো নিয়ে টিভি শো করা, তখনকার দিনে আড়াই মাসের বাচ্চাকে পোড়া লঙ্কার চটপটি খাওয়ানোর মতই। সেগান কিন্তু পিছপা হননি। ঠিক তার বাদামী জ্যাকেটটার ধুলো ঝাড়ার মতই, ঝেড়ে ফেল দিয়েছিলেন হাসি-তামাশা গুলো।