৪ জুলাই ২০১৫
প্লুটোগামী মহাকাশযান ‘নিউ হরাইজন্স’ এর পৃথিবীর কন্ট্রোল রুমে টানটান উত্তেজনা। মিশন প্রধান এলান স্টার্ন পায়চারী করছেন চিন্তিত মুখে – বেশ ক’ মিনিট হয় মহাকাশযান থেকে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে কি সাড়ে নয় বছর ধরে তিন বিলিয়ন মাইল পাড়ি দিয়ে এই ছিলো কপালে? আর সাড়ে ছয়শ’ মিলিয়ন ডলার অনুদান? তার শেষমেষ এই পরিণতি? তীরে এসে তরী ডোবার কি এর চেয়ে ভালো কোন উদাহরণ হতে পারে?
সবাইকে পহেলা বৈশাখে ১৪২২ নববর্ষের শুভেচ্ছা। আরও একবার বৈশাখ আমাদেরকে বাঙালির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন সামাজিক অনুষ্ঠানে একত্রিত হওয়ার সু্যোগ দিয়েছে। এই শুভ ক্ষণেও মৌলবাদীদের একদল পহেলা বৈশাখকে অমুসলিম বা হিন্দুদের বা বিধর্মীদের উৎসব সুতরাং ‘নাজায়েজ’ বলে বন্ধ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ আমরা বোমা হামলা থেকে শুরু করে আরো অনেক লেখালেখি বা অনলাইন প্রচারণায় প্রতিনিয়ত দেখছি। মৌলবাদীদের অ
রাতের আকাশে ঝিকিমিকি করে জ্বলছে কত তারা! একটু ভালো করে দেখলে তাদের রঙের পার্থক্য চোখে পড়ে – সাদা, হলুদ, কমলা, নীল আর লালচে তারার দল রাতের অন্ধকারে যোগ করে এক ধরণের প্রাণচাঞ্চল্য। এই দূর আকাশের বাসিন্দাদের ভালোবেসে মানুষ এপিটাফ লিখে গেছে –
“আমরা রাতের অন্ধকারকে ভয় করিনা, নক্ষত্রদের ভালোবাসি বলে। - We have loved the stars too fondly to be fearful of the night”
"তিমির কাঁপিবে গভীর আলোর রবে"
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজ থেকে প্রায় ১৩৭৪.৯ কোটি বছর আগে, মহাবিস্ফোরণের (big bang) মাত্র ৪ লক্ষ বছর পরে মহাবিশ্বের সব বাতি প্রায় ধপ করেই নিভে গিয়েছিল। এর আগে মহাবিশ্ব ছিল একটা ভয়ানক গরম, ফুটন্ত, ছুটন্ত প্লাজমা—প্রোটন, নিউট্রন আর ইলেকট্রনের এক চঞ্চল, ঘন মেঘ। সেইখানে কেউ থাকলে চারিদিকে দেখত শুধু ধোঁয়াশা আর ধোঁয়াশা, তবে একইসাথে সেটা হতো অন্ধ করে দেয়ার মতো উজ্জ্বল।
... অকস্মাৎ
পরিপূর্ণ স্ফীতি-মাঝে দারুণ আঘাত
বিদীর্ণ বিকীর্ণ করি চূর্ণ করে তারে
কালঝঞ্ঝাঝংকারিত দুর্যোগ-আঁধারে।
— নৈবেদ্য (৬৫), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্ফীতি একটা বুনো আগুন—একবার শুরু হলেই হলো, পুরো বন না জ্বালিয়ে থামবে না। আর বনটার যদি কোনো শেষ না থাকে? গুথ, স্তারোবিনস্কি এবং লিন্দে কহেন, মহাস্ফীতি'র (cosmic inflation) কারণেই নাকি আমাদের মহাবিশ্বকে অনস্তিত্বের বদলে অস্তিত্ব বেছে নিতে হয়েছে।