লেখার ফুরসৎ মিলতে মিলতে পেরিয়ে গেল গোটা দিনটাই।
তবু লেখা হোক। নাই মামার চেয়ে দেরী মামা নিশ্চয় ভাল।
আলো জ্বেলে রেখে গেল আঁধারের যাত্রী
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি। একটা দুঃস্বপ্ন তাড়া করে ফিরেছে একটা বছর। অনেক লেখা হয়েছে তাঁকে নিয়ে। অনেক টকশোর বকবকানি শুনেছি। শুনেছি পুলিশের আশাবাদ। ফল কিন্তু শূন্যই রয়ে গেছে। অভিজিৎদা হত্যার বিচার হবে কি হবে না, সে বিষয় নিয়ে লেখার উদ্দেশ্য নয়; সেটা বোধহয় সবাই অনুমান করতে পারছেন। আমি শুধু একবছর আগের সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে চাই।
সপ্তাহ শেষ হয়ে আসলেই ভাবতে শুরু করি, এইই শেষ সপ্তাহ। এরপর সব ঠিকঠাক করে নেবো। আইন্সটাইনের স্পেসটাইম কন্টিন্যুয়ামের জটিল সূত্রের কোনো অনুসিদ্ধান্ত অনুযায়ী বয়স কোনো এক ফাঁকে ত্রিশ অতিক্রম করে গেছে তাও সম্ভবত বছরখানেক আগে। যদিও এই ত্রিশ বছরে স্থান অতিক্রম করার মাত্রাটা সেই হারের সাথে পাল্লা দিতে পেরেছে এটা কোনো মানদণ্ডেই বলা যাবে না। অবশ্য পদার্থবিদ্যার সূত্রের কোন ফাঁকির পাল্লায় পড়ে হিসাবের খাতায় কে
২০০৪ সালে জফির সেতু আর আমার রক্ত দিয়া যে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর শুরু হইছিল। এক যুগ পরে আহমেদুর রশীদ টুটুলের রক্তপাত দিয়া কি সেই শুদ্ধস্বর বন্ধ হয়ে যাবে?
দুই মাস ধইরা খালি এই প্রশ্নটা আমার মাথায় ঘোরে। তিনজনের মাঝে দুইজন রক্ত দান কইরা শুরু করছিলাম। তৃতীয়জন কি রক্ত ঝরাইয়া বন্ধ করবে শুদ্ধস্বর?
কাঁটা চামচ দিয়ে একজনের চোখ গেলে দেয়ার ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে আমার বেশ কিছুদিন আগের একটি অনুভূতির কথা মনে পড়ে যাবে এবং প্রতিবেশির বদলে নিজেকেই মেরে ফেলতে ইচ্ছে হবে, মনে হবে আমিই তো চেয়েছিলাম, এরা উৎসব নিয়ে আসুক, দু একটা ভালো-মন্দ কথা বলুক; এখন এই নিস্ফল আক্রোশের কোন মানে নেই, তবে এই চিন্তাটি আসতে কিছুক্ষণ দেরি হয়ে যাবে এবং হাতের রিফ্লেক্সকে ফিরিয়ে আনা যাবে না, শেষ সময়ে ভিকটিম মাথা নাড়িয়ে ফেললে কাঁট
বইমেলা, ২০১৫
২- ২৬ ফেব্রুয়ারি
আম আর দুধে মিশে যায়... দিন দিন...
যেমন মিশে যায় দুই গাঢ় সবুজের ছায়াগুলো।
আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায় গাঢ় লাল সূর্যটা
সেখানের সবুজ আকাশে উঠে আসে- একটি সাদা তারা
আর একটি সাদা ফালি চাঁদ...
গত কয়েকদিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। আমি অত্যন্ত ভীতু মানুষ। ভয়ের চোটে গত কয়েকদিন খবর-পত্রিকা-অন্তর্জাল সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থেকেছি। কি হবে খবর জেনে? এমনকি ফারাবী’র পুনঃগ্রেপ্তারের খবরটাও জেনেছি প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে। জেনেই বা কি হবে, লুচ্চাটার বড়জোর ফাঁসি হবে, কিংবা তাও হবেনা। ফারাবীদের ফাঁসি-টাসি হয়না। ঘুরেফিরে অভিজিৎ রায়েরাই কোপ খেয়ে হারিয়ে যান কোন অজানার দেশে।