১.ভর দুপুরেও আজ রোদের দেখা নাই। ঝির ঝির করে তুষার পড়ছে গত দু'দিন। থামাথামির বালাই নাই। সূর্যের দেখাও পাওয়া যাচ্ছে না। আর উপরি পাওনা হিসাবে আছে হাড়ে সূঁচ ফোটানো বাতাস। যেসব দিনে সূর্য ওঠে, সেদিন বাতাসের এই সূঁচালো অত্যাচারও কমে আসে। আজ সে আশার গুড়ে কড়কড়ে বালি।
একুশ আমার রক্তস্নাত বর্ণমালা
দু:সময়ে দু:সাহসী যোদ্ধা বানায়।
একুশ আসে সমর সাজে
ঘুণে ধরা সমাজটাকে বিদায় জানায়।
একুশ প্রাণে আশার আলো
অত্যাচারের প্রতিবাদে কঠিন ভাষা।
দেশের লাগি ভাষার লাগি
বজ্র কঠিন শপথ নিয়ে সর্বনাশা।
একুশ ফাগুন রাঙা হয়ে
জনগণের অধিকারে আস্থা জানায়।
একুশ জরা জীর্ণতাকে ছুড়ে ফেলে
তরুন প্রাণে দিন বদলের বার্তা শোনায়।
একুশ শেখায় বাঁচতে হলে
বাঁচার মতই বাঁচতে হবে।
‘তোমারে কইছিলাম চেয়ারম্যান সাবের নামটা ইয়া বড় বড় কইরা লেখতে, যাতে দুইমাইল দূর থেইকা মানুষ নামডা পড়তে পারে। এইগুলান কী লেখছো? পড়তে তো অণুবীক্ষণ যন্ত্র আনতে হইবো!’
চিৎকার করে কথা বলায় রমিজ উদ্দিনের মুখ থেকে দলা দলা থুতু ছিটকে পড়ছে সামনের লোকটির গায়ে। লোকটি নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছে বেকুবের মত।
এ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি রোববার পড়েছে।
যাক, একদিন বাড়তি ছুটি পাওয়া গেলো।
কতদিন ঘুরতে বের হইনা !
অফিস-বাসা-অফিস-বাসা। উফ!
অ্যাই, একুশে ঘুরতে বেরুবি?
চল না!
শাড়ি পরব।
কতদিন শাড়ি পরে ঘুরতে বের হই না!
তোর সাদা-কালো শাড়ি আছে তো?
না থাকলে কিনে ফ্যাল। কে-ক্র্যাফটে সুন্দর সুন্দর শাড়ি এসেছে দেখলাম।
আমিও কিনব।
আমার অবশ্য আছে একটা। গত বছরের। কিন্তু পুরনো শাড়ি পরতে ইচ্ছে করছে না।
ও একটা পার্লে...
“মামণি, মামণি”।
মেয়ের আচামকা ডাকে দুপুরের কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে যাওয়ায় মেজাজ খারাপ করে সাথে সাথে জবাব দেন না সিগ্ধা। ‘ডাকুক গে, থাক। এমন অসময়ে কেউ ডাকে? কি এমন মরার দরকার, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে দুনিয়া উজাগার করার?’ ভাবতে ভাবতে আবার একটু তন্দ্রামত লেগে আসে। সেই সাত সকালে নাস্তা বানানো, অফিসে নিয়ে যাবার জন্য স্বামীর লাঞ্চের প্যাক তৈরি, বাচ্চাকে ঘুম থেকে তুলে স্কুলে যাবার জন্য তাড়া দ...
ঘাস ফুল আর পদ্ম পাতায় শুয়ে আছে আমার বর্ণমালা
থ্যাংকিউ আর গুডবাই আসন গেড়েছে ধন্যবাদ আর বিদায়ে।
হীনতায় নয়, নয় কোন ঘৃণায়- আমাদের সঞ্চয় পারিভাষিকতা
ঋদ্ধ করেছে ভাষার ভান্ডার কিন্তু শুণ্যতায় বাঙলার সংসার
তোমাদের প্রতিটি জাগরণ আমাদের জাগিয়েছে নিরন্তন, তাই-
হে একুশ আমরা ফিরে আসি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে শহীদ মিনারে
যে বোধ ছিল প্রতিটি মোর্চায় স্মারক বাহান্ন থেকে একাত্তরে
আমাদের স্বপ্ন...
'সবচেয়ে ভালো.../ পছন্দের/ শক্তিশালী...' এইরকম শর্ত দিয়ে কিছু বেছে নিতে বললে বিপদে পড়ে যাই। এই ব্যাপারগুলো সময়ের সাথে বারবার বদলে যায়। আজ এটা ভালো লাগলো, কাল হয়তো অন্যটা।
তবু মাঝে মাঝে অল্প কিছু লেখা মনে খুব দাগ কেটে যায়। বদলে যাবার তা...
সচলায়তনে মাহবুব লীলেনের প্রথম বই প্রকাশের বেক্কল মুহূর্ত পড়বার পর থেকেই ভাবছিলাম আমারো এ কিছু লেখা দরকার। সত্যি বলতে কি এক ধরনের ঈর্ষাই হচ্ছিল লীলেনের ব্যাক্কল হওয়ার বর্ণনা পড়ে। ভাবছিলাম -তাও তো ভাইজা...