একটা মেয়ে কেন ধর্ষিত হয়? এই প্রশ্নটা শুনলেই উত্তর দেয়ার জন্যে নানা কিসিমের আগ্রহী লোক জমায়েত হয়ে যায়। সেটা হোক বন্ধুদের আড্ডায়, সুশীলদের সেমিনারে, অনলাইনে অথবা অফলাইনে। প্রায় প্রত্যেকটা মানুষেরই এই ব্যাপারে কিছু বলার থাকে সাধারণত। নীতি-নৈতিকতা নিয়ে জ্ঞান দেয়ার সুযোগ মানুষ সাধারণত ছাড়ে না। এছাড়াও মেয়েদের পোশাক আশাকের ব্যাপারে জ্ঞানগর্ভ কিছু বলার মতো কথা নেই, কত রাতের পর ভদ্র ঘরের মেয়েরা বের হয় না, বা বের হওয়া উচিত না সেই বিষয়ে দেয়ার মতো নিজস্ব অথবা ধারকৃত মতামত নেই, এমন মানুষ সংখ্যায় খুব বেশি না। মেয়েরা নরম টিউব আর ছেলেরা শক্ত টায়ার, টায়ার ছাড়া শুধু টিউবে গাড়ি চালালে পেরেক তো ফুটবেই এরকম উপমাও দেন আমাদের বিখ্যাত সেলিব্রেটিরা। সেখানে শত শত লাইক পড়ে, সাথে দুই একটা গালিও হয়ত। পত্রিকায় মেয়েটার ছবিসহ খবর ছাপা হয়, শিরোনাম হয় ‘তরুণী ধর্ষিত’। সেখানে রিপোর্টের ফাঁকে ফাঁকে লেখা হয় মেয়েটার কামিজের দৈর্ঘ্য কতটুকু ছিল, মেয়েটা কত রাতে বাড়ি ফিরছিল। সবাই প্রশ্ন করে, ‘কেন ধর্ষিত হলো মেয়েটি?’ একটা মেয়েকে তো কেউ এমনি এমনি ধর্ষণ করে না, কত মেয়েই তো একা একা চলে, কই তাদের তো কিছু হয় না!
অভিজিৎ, মসজিদ, ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম সেক্যুলারিজমঃ