"গিয়াছিনু সরোবরে স্নান করিবার তরে
দেখিয়াছি একজন অপরূপ কামিনী
চক্ষুমুখ পদ্মছন্দ কিবা ছন্দ কিবা বন্ধ
নিলাম্বরে ঝাঁপে তনু মেঘে যেন দামিনী।।
ঈশ্বর সহায় হন দূতী মিলে একজন
এইক্ষণে তার কাছে যায় দ্রুতগামিনী।
যত চাহে দিব ধন দিব নানা আভরন
কোন মতে মোর সঙ্গে বঞ্চে এক যামিনী।।" (ভারতচন্দ্র রায়, অষ্টাদশ শতাব্দীর বাঙালি কবি)
আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
আমাদের বাংলা ভাষাব্যাকরণে স্ত্রীলিঙ্গের মানুষ প্রজাতিকে,
নারী: নৃজাতির বা নরজাতির স্ত্রী, নরের ধর্ম্ম্যা, সীমন্তিনী- কামিনী,
স্ত্রী: যাহাতে গর্ভ সংহত বা কঠিন হয়, সীমন্তিনী, নারী - যোষিৎ, মাদী ,
ললনা" সুকুমারাঙ্গী, বিলাসকারিনী,
রমণী: রময়িতা, রতিকারি)