একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছে করে। একটা মেয়ে রেপড হলে আমরা খুব চেঁচামেচি করি, কেন করি? মেয়েটির সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হয় বলে নাকি তার দেহ ও মন ক্ষতবিক্ষত হয় বলে? যদি মনে করি সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হয়, তবে আরও একটা প্রশ্ন এসে যায় যে অন্যায় মেয়েটি করে নাই, তার জন্য সে কেন মর্যাদা হারাবে? কেন সে লজ্জিত হবে? আর যদি মনে করি তার তার দেহ-মন ক্ষতবিক্ষত হয় বলে প্রতিবাদ করি, তবে এই আমরাই কী করে ১২/১৩ বতসরের মেয়েদেরকে বিয়ে দেই? তাও আবার সমাজকে সাক্ষী রেখে? একজন রেপিস্ট তো চুপিসারে কাজ সারে, আর একজন লাইসেন্সধারী রেপিস্ট তো সমাজের অনুমতি নিয়ে দিনের পর দিন অতটুকুন শরীরের ওপর নির্যাতন চালায়! তখন কেন সবাই মুখ টিপে মজা দেখে? কেন মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত দেহ আমাদের মনকে নাড়া দেয় না?
[নারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে]
বাঙালির যৌনজীবন নিয়ে প্রিয় লেখক হুমায়ুন আজাদের একটা লেখার অংশ:
মেয়েটির জন্মের সময় সমস্ত পরিবার মুখ অন্ধকার করে বসেছিল- কেউ হাসেনি, কেউ কেউ -'আহা রে। আবার মেয়ে!' বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছে! জন্মের মুহূর্তে একটি মেয়েকে যে সমাজ এমন ভয়াবহ আমন্ত্রণ জানায় পৃথিবীতে- সেই সামাজিকতায় মেয়েটিকে প্রতিটি পদক্ষেপে যে অপমানিত, নিগৃহত, নির্যাতিত হতে হবে তার তো আর বলে দিতে হয় না!
মেয়েদের মধ্যে এলাকাভিত্তিক ঐক্যের অভাব চোখে পড়ার মতো। আমাদের বন্ধুত্ব বা আড্ডা হয় শুধুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক। ছেলেদের প্রায় সবারই এলাকায় বন্ধু বান্ধব থাকে, এবং অন্য এলাকায় গেলেও তারা পরিচিত বন্ধুদের কাছ থেকে হেল্প নিতে পারে। একই এলাকার বাসিন্দা মেয়েদের মধ্যে একই রকম নেটওয়ার্কিং গড়ে তুলতেই আমাদের শক্তি আইডিয়ার জন্ম।
শক্তি গ্রুপ এবং নেটওয়ার্ক কারও একার নয়, প্রত্যেক শক্তি এখানে সমান, সবাই সবার বন্ধু। শক্তিকে কর্মক্ষম এবং সুন্দর রাখতে শক্তির সকলের মতামত, ইচ্ছে, পরামর্শ অথবা অভিযোগকে সমান গুরুত্ব দেয়া হয়।
আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নের প্রায়োগিক এবং তাত্ত্বিক গবেষণা এবং কর্মপন্থার এখনো অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক সামাজিক রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় গ্রামীন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা, বিদ্যমান সমস্যা এবং সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে এখানে আলোকপাত করা হল।
বৈশাখী মেলায় আড্ডাবাজির ফাঁকে ফাঁকে তন্ময় যে রঙ্গিন সাজে পরীর মত দেখতে হওয়া মেয়েগুলির দিকে তন্ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেনি, তা নয়! এরপর রাতে টিভির নিউজটা স্বভাবতই বুকের মাঝে ভীষন ক্ষত সৃষ্টি করল, চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগল, দিনের বেলা দেখা সেই স্বপ্নের পরীদের বিবস্ত্র করছে কতগুলো জানোয়ার! পরীদের আর্তচিৎকার ছড়িয়ে পড়ছে আকাশের বিশাল শুণ্যতায়!
এই মুহুর্তে পাকিস্তান বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ চলছে। এর আগে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ ও একটি টি২০ ম্যাচ। টেস্টে ড্র করলেও ওয়ানডে ও টি২০র সবক'টি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে। সাফল্যের কিছু দিক দেশি ও আন্তর্জাতিক রেকর্ডবইতে কয়েকটি কীর্তি জায়গাও করে নিয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম এই খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। বেশ কয়েকটি ফিচার রিপোর্ট, ম্যাচ প্রিভিউ, পোস্ট-ম্যাচ রিপোর্ট, টুকরো সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে এই খেলা
আমি, আমরা তখন অষ্টম কিংবা নবম শ্রেণীতে পড়ি; আমাদের বন্ধু শৈলীও তাই। শৈলী আমাদের কলোনীর মেয়ে। আমরা এক সঙ্গে শৈশব থেকে বেড়ে উঠেছি, বড় হয়েছি। কলোনীর আরো অনেক মেয়েইতো ছিল; যাদের সাথে এক্কা-দোক্কা, বরফ-পানি আর দোকান-দোকান খেলা খেলতে খেলতে বড় হয়েছি আমি; তবু আজকের এই পড়ন্ত বেলায় স্মৃতির ক্যানভাসে শৈলীর মুখখানাই ভেসে উঠছে বারবার। শৈলী ছিল অনেকটা প্রচণ্ড কালবোশেখীর তাণ্ডবে টিকে থাকা একটি সপ্তপর্ণ বৃক্ষের ম
নারী দিবসের লেখাগুলো পড়তে পড়তে রাগে ফুঁসছিলাম। আমাদের দেশে মেয়ে হওয়া কতটা যন্ত্রণা সেটা বাংলাদেশের মেয়ে হলে না জন্মালে মনে হয় বোঝা সম্ভব না।
কিন্তু পড়তে গিয়ে মনে হলো স্রোতের বিপরীতেও চলার গল্প কিছু থাকুক, আশার কথা কিছু থাকুক।
সত্যি বলতে কি, সেটার জন্য খুব বেশি কিছু প্রয়োজন নেই, মানসিকতার সামান্য একটু বদল হলেই চলে।
ঘটনা ১-
ছোটবেলায় আব্বুর সাথে বাজারে যেতে বেশ ভালোবাসতাম। বাজারে গিয়ে বিবেচকের মতো সবজি পরখ করে দেখতাম। একবার টিপে টমেটো গেলে ফেলাতে ঐ মাতুব্বরিতে ভাঁটা পরে।