একাধারে তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যলেখক, নাটক রচয়িতা, প্রবন্ধকার, কলামিস্ট। মানুষটির অনেকগুলো পরিচয়। যেকারণে তাঁকে সব্যসাচী লেখক হিসেবে অভিহিত করা হয়। কিন্তু তিনি নিজে ঠিক কোন পরিচয়ে স্বস্তিবোধ করেন? উত্তরটা সৈয়দ শামসুল হক নামের সব্যসাচীর মুখেই শুনে নেয়া যাক "কবিতা হচ্ছে ভাষার সর্বোত্তম, সর্বোচ্চ, সবচে' সাংকেতিক প্রকাশ। কাজেই যিনি কবিতা লিখেন তাঁকে কবি-ই বলতে হবে, এবং তাঁর অন্য সব লেখা ঐ কবি কাঠামো থেকেই ওঠে আসে।" আগাগোড়া কবিতায় মগ্ন সৈয়দ হকের স্বগোতক্তি," আমাকে যদি আরেকটা জীবন দেয়া হয় আমি শুধু কবিতাই লিখতাম" বোঝা যাচ্ছে, তিনি নিজেকে একজন কবি হিসেবে ভাবতে সবচে' স্বস্তিবোধ করেন। আর স্বস্তি যেখানে, সুখের মতো সৃষ্টিশীলতাও সেখানে বসত গড়ে। দু'হাতে তাই লিখে গেছেন সৈয়দ হক 'সৃষ্টি সুখে উল্লাসে', অজস্র অজস্র কবিতা। চিত্রকল্পের দৃশ্যগত ও ইন্দ্রিয়গম্য দুটি ধারা সৈয়দ হকের কবিতাকে পাঠকের কাছে করে তোলে হৃদয়গ্রাহী, জীবন্ত।
আজকে খবর পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই একটা খবরে চোখ আটকে গেল, দেশে এখন নাকি গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে! এবার ভালোভাবে খবরটা পড়ে দেখি, ওমা!