৩.অনির ভীষণ জল ভীতি আছে। কিন্তু অনি দেখেছে পৃথিবীর বেশির ভাগ কাজকর্ম জল ছাড়া হয় না। জল ভীতির সাথে অবশ্যম্ভাবীভাবে জড়িয়ে থাকে স্নান ভীতি। ছোটবেলা থেকে অনিকে স্নানে নিতে মাকে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। বিশেষ করে শীতকালে মা আর অনির মধ্যে এই স্নান করা নিয়ে কম লুকোচুরি খেলা হয়নি। মায়ের আঁচলে সেই সব দিনের অনেক গল্প আছে। খাওয়ার টেবিলে মাঝে মাঝে মা অনির ছেলেবেলার গল্প করে আর হাসে। বাবার স্টকেও অনি-তোড়ার ছেলেবে
চোখের জল আটকাবার চেষ্টা করেন না মোহনা। জগতের এই একটামাত্র নির্জন স্থানে চোখের জল ঝরবার কার্যকারণ কেউ খুঁজতে আসে না। সেটা হলো মোহনা চক্রবর্তীর ঠাকুরঘর। তার শোবার ঘরের পাশের ছোট্ট ঘরটিতেই ঠাকুরঘর। কাঠ দিয়ে তৈরি পূজার ঘরটিতে মূল মন্দিরের মাঝখানে একটু উঁচুতে নানান দেবতার ছবি। আর মন্দিরের শিখরের উপর লাল কালিতে ওঁ লেখা। মন্দিরের গায়ে বিভিন্ন রকম ফুল, ফল, লতার সঙ্গে সংস্কৃত শ্লোক আর দেবতাদের প্রতীক দিয়ে
অনি হাঁটছে। দ্রুত পায়ে। দূর থেকে যে কেউ দেখে ভাববে কোনো স্থির লক্ষ্যের দিকে জোর পায়ে ছুটে চলছে ছেলেটি। কিন্তু অনি যখন বাড়ি থেকে বের হয় তখন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না বরং তীব্র এক অভিমান নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিল। এখন অভিমান আর দুঃখের ফারাক নেই। বুকের ভেতর অভিমান জমে জমে দুঃখের বোঝা হয়ে গেছে। নিজের প্রিয় জিনিসগুলো ফেলে আসার কথা ভেবেও ওর পিছু ঘুরতে ইচ্ছে হচ্ছে না তাই। ওর প্রিয় কয়েন এ্যালবাম, পঁচিশটা রঙ