জাত যাবার ডরে খায় নাই ভাত; দুই দিনের খিদা নিয়া এখন পশুর পোড়া থ্যাতলা মাংস চাবায় জঙ্গলের ভিতর…
আমি রাবণের বাড়ি গেছিলাম রামের বার্তা নিয়া। সে কথা শোনে নাই; মরছে। তার আগে আমি বালির বিষয়ে সুগ্রীবের দূতিয়ালি করছি রামের কাছে; বালিও মরছে। এইবার রামের দূত হইয়া আমি আপনেরে এই কথা বলতে আসছি যে; রাম তার পিতৃসিংহাসনে রাজা হইতে চান; যদিও এইখানে মারামারির কোনো কথা নাই; কারণ ভাইয়ে-ভাইয়ে রক্তারক্তি বড়োই ঘিন্না করেন রাম…
সার্কাসের সাপের মতো একবার ফোঁস কইরা তিনবার মাটিতে থুতনি ঘষেন রাজা দশরথ। তাড়াহুড়া করতে গিয়া ভুল করছেন হিসাবে আর চুরি লুকাইতে গিয়া হারাইছেন সহায়। সব থিকা বড়ো কথা জীবনে পয়লাবারের মতো একলা একলা রাজাগিরি করতে গিয়া খেয়ালই করেন নাই রাজকীয় কলকব্জার কোন চাকা কোনদিকে ঘোরে আর কোন ছিদ্র দিয়া কোন কব্জায় কে ঢালে তেল…
সবকিছুতে সকলের অপমান হয় না। অপমানিত হইবার জন্য যে সামান্য পূর্বমান থাকা লাগে সেইটা দশরথের নাই; থাকলে বিশ্বামিত্র যা ঘটাইলেন তাতে রাজা দশরথের আগুন হইয়া উঠবার কথা…
দশরথের দুই পোলার বিবাহ আয়োজন কইরা দশরথরেই সেই বিবাহ খাইতে খবর দিলেন বিশ্বামিত্র- আপনের দুই পোলার বিবাহে আপনার নিমন্ত্রণ…
পঞ্চসতীর যে পূজা হয় সেই সতীগো পয়লা তালিকায় সীতার নাম নাই; অথচ সতীত্বের পরীক্ষায় পাশ করা একমাত্র নারী হইলেন সীতা। ক্যামনে কী?
‘অহল্যা দ্রৌপদী কুন্তী তারা মন্দোদরী তথা
পঞ্চকন্যা স্মরে নিত্যং মহাপাতক নাশনম্’
সীতা কি রাবণের মেয়ে? নাকি শুধু মন্দোদরীর সন্তান?
বাঙালির লাইগা রামায়ণের কিছু ভয়ানক ভার্সন আছে। যেইগুলাতে দেখা যায়; রাবণ যখন মায়াসুরের কাছে তার কইন্যা মন্দোদরীরে বিবাহ করার লাইগা প্রস্তাব দেয় তখন মায়াসুর একটা দৈববাণী স্মরণ কইরা রাবণরে সতর্কবাণী শোনায়- মন্দোদরী গর্ভজাত প্রথম সন্তান কিন্তু হইব তার স্বামীর বংশনাশের কারণ...