বিশ্ব সাহিত্যে ব্রিটিশ লেখকদের বেশ কদর এবং বাজার ছিল এক সময়ে। মূল ধারার সাহিত্যের পাশাপাশি চটকদার থ্রিলার ধরনের সাহিত্য রচনায় তারা বেশ পারদশর্িতা দেখিয়েছে বছরের পর বছর। শার্লক হোমস, কাউন্ট ড্রাকুলা এবং জেমস বন্ড — এই তিনটা চরিত্র সম্ভবত জনপ্রিয়তায় পেছনে ফেলেছে অন্য সবাইকে। মজার ব্যপার হলো, এই তিনটা চরিত্রের স্রষ্টা তিন দেশ থেকে আসা তিন ব্রিটিশ লেখক। স্কটল্যান্ড থেকে কোনান ডয়েল লিখেছেন হোমসকে নিয়ে, আয়ারল্যান্ড থেকে ব্র্যাম স্টোকার তৈরি করেছে ড্রাকুলাকে; আর ইংল্যান্ড থেকে ইয়ান ফ্লেমিং বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন বন্ডকে। এই তিন চরিত্রের একটা মিলও রয়েছে কিন্তু। তিনটি চরিত্রই ঘুরে ফিরে এসে মিশে গিয়েছে লন্ডন শহরে। প্রতিষ্ঠিত করেছে নিজেকে কিংবদন্তি হিসেবে, পেয়েছে কোটি কোটি অনুরাগী এবং বিশ্বকে বিনোদন দিয়ে গিয়েছে এবং যাচ্ছে যুগযুগ ধরে। প্রকাশনা এবং চলচিত্র, সর্বত্রই এই তিনটি চরিত্র দাপটের সাথে নিজেদের প্রমাণ করেছে। শার্লক হোমস অনূদিত হয়েছে প্রায় একশ ভাষায়, চলচিত্র নির্মিত হয়েছে অগুনতি। আজও লন্ডনের ২২১বি বেকার স্ট্রিটের ঠিকানায় হোমসের নামে চিঠি আসে নিয়মিত। এমনকি সেই চিঠিগুলো সংগ্রহের জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা, খোলা হয়েছে মিউজিয়াম যেখানে গেলে মনে হয় হোমসের সাথে এখনই দেখা হয়ে যাবে। শালর্ক হোমস এতটাই জীবন্ত এখনও। অন্য দিকে, ডাবলিনে অবস্থিত ড্রাকুলা মিউজিয়ামে তালিকা করে রাখা আছে প্রায় আড়াইশ চলচিত্রের নাম যা ড্রাকুলার উপর নির্মিত। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেইজের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ড্রাকুলাকে নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় এ পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে অন্তত ৬৩০টি চলচিত্র। তবে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সম্ভবত এদের পেছনে ফেলে খানিকটা এগিয়ে রয়েছে তুলনামূলক নবীন চরিত্রটি — বন্ড, জেমস বন্ড।