এ মানব মন বড়ই বিচিত্র! বড্ড অনুসন্ধিৎসু। সেই আদিকাল থেকে মানব মনে প্রশ্ন, এই মানব জন্মের রহস্য কি, উদ্দেশ্যই বা কি, এ জগত, এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তির কারণ কি, কতকাল পূর্বে এই বিশ্ব-জগতের উদ্ভব, কতকালই বা তার স্থিতি,ইত্যাকার নানাবিধ প্রশ্ন। মানব মনে নানা বিস্ময়, কৌতুহল।
[justify]Stephen Hawking এক জায়গায় বলছেন - “… to me philosophy is dead".
[উগ্রভুদাই = যুক্তি ছাড়াই জায়গা-বেজায়গায় "উগ্র" শব্দ জুড়ে দিয়ে নিজেকে ভুদাই (বলদ) হিসেবে প্রমান করে যে ব্যক্তি।]
---
এবার নাহয় শব্দ দুটোর ব্যুৎপত্তি খোঁজা যাক্। বর্তমান প্রচলিত অর্থে যাঁরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন তাঁদেরকে আস্তিক এবং যাঁরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না তাঁদেরকে নাস্তিক বলা হলেও প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে আস্তিক ও নাস্তিক শব্দদুটি বর্তমান অর্থে নয়, বরং এক বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
---
---
এ পর্যায়ে এসে বিচক্ষণ পাঠককে বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, দর্শন-তাত্ত্বিক জ্ঞানচর্চার অংশ হিসেবে বক্ষ্যমান লেখাটিকে কেউ যেন ব্যক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ছকে ফেলে নিজের মানস-চেতনাকে অহেতুক উৎপীড়িত না করেন এবং উদারনৈতিক যুক্তিশীল অবস্থান থেকেই বিভিন্ন দার্শনিক-মতের নিজ নিজ যুক্তি-তর্কের উপস্থাপন হিসেবে উপভোগ করেন।
---
---
ভারতীয় দর্শনে নাস্তিক দর্শন তিনটি হলো চার্বাক-দর্শন, জৈন-দর্শন ও বৌদ্ধ-দর্শন। একটু ভেবে দেখুন তো, পৃথিবীতে জনসংখ্যার আধিক্য বিবেচনায় প্রধান চারটি ধর্মাবলম্বীদের একটি হলো বৌদ্ধ। অথচ এই বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম দাঁড়িয়ে আছে প্রতিষ্ঠিত দুটি নাস্তিক দর্শনের উপর ! কেন এমন হলো এটা একটা প্রশ্ন নয় কি ?
---
হেফাযতে ইসলামীর ঢাকায় তাণ্ডব চালানোর দৃশ্য দেখে অনেকের চোখই কপালে উঠে গেছে। কেউ কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে হেফাযতীরা বাংলাদেশেই বাস করে। অথচ কদিন আগেই শাপলা চত্বরে হেফাযতের প্রথম সমাবেশের সময় এদের অনেকেই সেখানে গিয়েছিলেন, অনেকে তাদেরকে আপ্যায়নও করেছিলেন। আবার তারাই এখন হেফাযতকে ধিক্কার দিচ্ছেন। বলছেন এরা আসলে ইসলাম কী সেটাই ঠিকমতো জানে না, এদের হাতে ইসলাম মোটেই নিরাপদ নয়।
এক.
ব্লগ কী জিনিষ চিনিস ব্যাটা? ব্লগে কী হয় জানিস?
গাধার মত বললে কথা সবাই হাসে মানিস?
ব্লগার কারা? কাজ কী তাদের? বিন্দুমাত্র তোদের
নেই ধারণা; অজ্ঞ থেকেই পথ আগলাস ওদের!
ব্লগে সবাই লিখতে পারে নেই কোন তার বাধা
হোক সে মানুষ কিম্বা ছাগু কিম্বা গরু-গাধা।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার এক মাধ্যম এটা
ব্লগার মানেই নাস্তিক নয় শোন মুর্খের ব্যাটা।
যার যার মত প্রকাশ করে ব্লগে যে যার মত
শ্রদ্ধেয় ‘মুরতাদ’ আহমদ শরীফ
জুলফিকার কবিরাজ
আহমদ শরীফের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন যখন শেষ পর্যায়ে তখন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উত্তর দিকের গাছ তলায় চেয়ারে বসে ছিলেন হুমায়ন আজাদ। পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন ফকীর আলমগীর। তিনি তাকেঁ ডেকে বললেন ‘তুমি একুশে পদক পাওয়াতে আমি খুব খুশি হয়েছি’। ফকীর আলমগীর বিনয় করে বললেন ‘কোন কোন সময় পদক দ্বারা ব্যক্তিকে সম্মানিত করা হয়, আবার কোন সম...