পড়ব পড়ব করে কয়েক বছর পার করে দিয়ে অবশেষে এই বই পড়ার সুযোগ হলো এই মাসকয়েক আগে। তাও আবার বন্ধু পড়ছিল, আমি আফসোসমুখে জানিয়েছিলাম যে বইটা আমারও পড়তেই হবে বটে, তাই শুনে এক্কেবারে জন্মদিনের সন্ধ্যায় বই হাতে করে হাজির। একে জন্মদিন, তায় আবার একেবারে অপ্রত্যাশিত উপহার, ধন্যবাদেরও ভাষা যোগায়নি মুখে। আচ্ছা, ধান ভানতে নেমে এমন শিবের গীত না গাওয়াই সমীচীন, সুতরাং পেছনের এইসব হাবিজাবি গল্প তোলা থাক এখনকার মতো, ব
বই পড়তে আমার বেশ সময় লাগে, কিংবা বলা যায় বেশ সময় নিয়ে আমি একেকটা বই পড়ি। অনেক সময় একেকটা বই তিন মাস চার মাস ধরেও পড়তে থাকি। আবার এক সাথে তিন চারটা বই পড়তে থাকি। বেশিরভাগ বই পড়ুয়াদের দেখেছি একটা বই এক নিঃশ্বাসে শেষ করে ফেলে। আমি এভাবে পড়তে পারি না সব সময়। একখান বই অর্ধেক পড়ে আবার আরেকটা পড়তে শুরু করি। আবার আরেকটা, আবার আরেকটা, আবার হয়ত প্রথমটাতে ফিরে গেলাম, এরপর আবার তৃতীয়টা, তা থেকে দ্বিতীয়টা।
সচলায়তন পরা শুরু ,যখন থেকে একাকিত্বের সঙ্গী হয় আমার লেপটপ খানি . অনেক বার ভেবেছি নিবন্ধন করব , কিন্তু এত এত কঠিন নিয়মাবলী দেখে বারবার পিছ পা হই.কিন্তু পাগল মন কে আর ঠেকাতে পারলাম না . হাতে খড়ি নিলাম ( আশা করি নাকে খড়ি দিতে হবেনা ).
আমার শহরটির নাম গোপালগঞ্জ। এক সময় জলের ভিতর থেকে উঠে এসেছিল। এখানে হাওয়ায় জলের গন্ধ ভাসে। এখানে আমি জন্মেছিলাম ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের আগে। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছিলাম। এই গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল--টুঙ্গিপাড়ায়।
এই শহরটির ভিতরে আমি সব সময় ঘোরাফেরা করি। এখন হাডসন নদীর পাড়ে শুনি—আমাদের মধুমতি নদীটি কুলকুল রবে বয়ে চলেছে। আমি সাঁতার কাটছি।আমার প্রাণে শ ...
...আমি ভাবলাম গাড়ি খালি। ভিতরে কেউ নেই। কিন্তু গাড়ির ভিতরে তিনজন যাত্রী ছিল। আমাকে দেখে তাদের কেউই একটুও নড়ল না। এমন কি আমার দিকে তাকালও না। মনে হলো তারা সবাই ঘুমাচ্ছে। আমি ভিতরে গিয়ে বসলাম। গাড়ির ভিতরটা মনে হলো খুবই ঠাণ্ডা, এমন কি বাইরের চেয়েও বেশি ঠাণ্ডা। গাড়ির ভিতরের বাতাস বেশ ভারী, স্যাঁতস্যাঁতে। এর মধ্য থেকে মৃতবত্ গন্ধ আসছিল। আমি সকল যাত্রী...
ছন্দ আছে দেহে, ছন্দ আছে মনে। দেহ ও মন তাই বাঁচে ছন্দে। একটুখানি ছন্দহীনতায় দেহে নামে অসুস্থতা। তাল পুরোপুরি কেটে গেলে নির্ঘাত মৃত্যু। দেহের মতোন মনের ছন্দহীনতায়ও আসে বিরহ, চিরবিচ্ছেদ। ছন্দের শুরু যেন সেই সৃষ্টির প্রারম্ভে, একেবারে ভাষার আদিতে।
এই যে আজন্ম সাথী ছন্দলয়তাল আমাদের সকলের মাঝে বিরাজমান- তার বিকাশ কথার বোলে, ছড়া কাটায়, কবিতা পাঠে কি...
ক্লাস এইট বা নাইনে পড়ার সময় একবার বেশ বেকায়দায় পড়েছিলাম এক বন্ধুকে বই ধার দিয়ে। ওর বাবা ছিলেন আমাদের হাইস্কুলেরই শিক্ষক। বেশ হুজুর টাইপের মানুষ। তিনি ...
সাধারণত যে বিশেষ একটি কারণে আমি আব্বুর প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞ, তা হলো ছোট্টবেলায় গল্পের বইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তাও আবার মাসুদ রানা! জেনেই দিক বা না...
আশির দশকে কবিতার পোকা যখন মাথায় কামরায় কবিবন্ধু দেলোয়ার হোসেন হীরা তখন আমার সহপাঠক। রাতদিন কবিতা পড়ি, সময়ে অসময়ে পড়ি। পত্রপত্রিকায় পড়ি, লিটল ম্যাগাজিনে পড়ি, হাতের কাছে বই পেলেই পড়ি। দেলোয়ার হোসেন হীরার বাড়ি ঝালকাঠিতে। ও কবি আব...
বই পড়া আলোচনায় আগের পর্বে উপন্যাসের কথা লিখেছিলাম। ব্লগারদের বই নিয়ে আমার আগ্রহ বেশ পুরনো। গত বছরও লিখেছিলাম। বই হাতে পড়লেই কিছু লিখতে ইচ্ছে করে। এতে করে আমার নিজেরও বই পড়ার জ্ঞান ঝালাই হয়ে যায়। আসলে বই পড়ে আর কতোটুকুই বা বুঝি! ...